লন্ডনে ভাড়া বাড়ির সংকট চরমে
লন্ডনে ভাড়াটেরা বসবাসের জন্য বাড়ি খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। মার্কেটে ফ্লাট ও বাড়ির সংখ্যা নজীরবিহীন হারে হ্রাস পাওয়ার দরুন এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে গত মাসে ভাড়াটে বাড়ির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৪৪ শতাংশ হ্রাস পায়। এটা মহামারির আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
দেখা গেছে ৩২ টি বারার সব ক’টিতেই ভাড়াটে বাড়ির সংখ্যা কমেছে এবং লন্ডন নগরীরর ইজলিংটন, ল্যামবেথ, হ্যাকনী এবং ক্যামডেনের মতো সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানগুলো গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশেরও বেশী হ্রাস পেয়েছে বাড়ির সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্যাক্স ও রেগুলেটরী পরিবর্তনসমূহের কারনে বাড়ির মালিকেরা মার্কেট থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। এর সাথে যোগ হয়েছে আরেকটি বিষয়। সেটা হচ্ছে, মহামারির পর কর্মস্থলমুখী তরুন শ্রমিক-কর্মীরা রাজধানীতে বসবাসের জন্য ফিরতে শুরু করায় জট সৃষ্টি হয়েছে।
টুয়েন্টি সিআই- এর বিশ্লেষকগন প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে লন্ডনে ভাড়ার উপযোগী ৭৪ হাজার ৭৬৬ টি আবাসিক সম্পত্তি ছিলো এবং ২০১৮ এবং ২০২০ সালের মধ্যে একই মাসে ছিলো গড়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৪ টি।
লন্ডনের পরেই ইজলিংটনে সবচেয়ে বড়ো সংখ্যা হ্রাস দেখা গেছে, যেখানে বার্ষিক ৫৪ শতাংশ অর্থ্যাৎ ২ হাজার ৫০৯ টি বাড়ির সংখ্যা হ্রাস পায়। এর পরের স্থানে রয়েছে ল্যামবেথ। এখানে বাড়ির সংখ্যা কমেছে ৫৩ শতাংশ অর্থ্যাৎ ২ হাজার ৮৩৪ টি। আর সবচেয়ে ক্ষুদ্র হ্রাস হয়েছে বেক্সলীতে, সেখানে কমেছে মাত্র ৬৩৩ টি অর্থ্যাৎ ১০ শতাংশ।
ভাড়াটে বাড়ির এই ঘাটতি বাড়ি ভাড়াবৃদ্ধিকে রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে যায়, যা ডাবল ডিজিটে উন্নীত হয়। ফলে ভাড়াটেদের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। অথচ মহামারির সময়ে লকডাউনকালে বাড়ির মালিকদের ভাড়াটে খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তখন হাজার হাজার ভাড়টে বাড়ি ছেড়ে নিজেদের গ্রামের বাড়ি চলে যান। চাকুরী হারিয়ে ফারলো’র ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ক্যাম্পেইন গ্রুপ- ‘জেনারেল রেন্ট’- এর উপ-পরিচালক ড্যান ইউলসন ক্রো বলেন, ২০২১ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে লন্ডনমুখী মানুষের ভিড় বাড়ি ভাড়াকে উর্ধ্বমূখী করেছে। লন্ডনে বসবাসরত অনেক ভাড়াটে ভাড়া বাড়ি ছাড়ছেন না এজন্য যে, ছাড়ার পর যদি আর বাড়ি না পান।