ব্রিটেনে জ্বালানি কোম্পানিগুলোর গ্রাহকসেবা শোচনীয় পর্যায়ে
‘সিটিজেন এডভাইস’ এর পরিসংখ্যান অনুসারে যুক্তরাজ্যের জ্বালানি সরবরাহকারীদের সেবার মান এখন ২০১৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। কাকতালীয়ভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সাথে সেবার মান নিম্নগামী হতে দেখা যাচ্ছে। এই চ্যারিটি সংস্থাটির মতে রেগুলেটররা প্রাইস ক্যাপ অর্থাৎ মূল্যের সীমা বৃদ্ধির কয়েকদিন পরই গৃহস্থালিরসমূহ একটি রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে নিপতিত হন। এর সাথে বোর্ড জুড়ে কাস্টমার সার্ভিসের মানেরও পতন ঘটে।
লোকজন তাদেরকে ফোনে পেতে কিংবা ইমেইলের জবাবের পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। সিটিজেন এডভাইস এর স্টার রেটিং টেবল ২০২১ সালের ১লা অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গৃহীত, যখন বালব এনর্জি, পিওর প্লানেট এবং অরবিট এনার্জি মতো এক ডজনেরও বেশি জ্বালানি সরবরাহকারীর বিপর্যয় ঘটেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ওয়েবসাইট ক্রাশ হওয়ার পর বড়ো বড়ো জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে।
১লা এপ্রিল মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হওয়ার পূর্বে কাস্টমারদের তাদের মিটার জমা দেয়ার জন্য ব্যাপক হারে ভিড় জমাতে দেখা যায়।
সিটিজেন এডভাইস বলেছে যে, জ্বালানি সরবরাহকারীদের গ্রাহকসেবা ২০১৭ সালের পর থেকে গড়ে সবচেয়ে খারাপ। হালনাগাদ সূচি থেকে দেখা যাচ্ছে, এমনকি উত্তম সেবা দানকারী সরবরাহকারীরাও এখন পাঁচটি তারকার মধ্যে চারটিও স্কোর করছেন। গত বছর পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা সরবরাহকারী সব সময়ই চারটির বেশি স্কোর করেছে।
তালিকায় ইউনিটা, বুস্ট, ইকোট্রিসিটি,গুড এনার্জি, ওডোসহ জ্বালানি প্রতিষ্ঠানসমূহকে সবচেয়ে খারাপ সেবাদানকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ের সরবরাহকারীদের স্কোর নেমেছে ১.৭ পয়েন্টে, যা আগের ত্রৈমাসিকে ছিলো ২.১ পয়েন্ট।
নিম্ন স্কোরের মূল কারণগুলোর একটি হচ্ছে, কল ওয়েটিং টাইম অর্থাৎ কল করে অপেক্ষার সময় বৃদ্ধি। বর্তমানে গড় কল ওয়েটিং টাইম পাঁচ মিনিটেরও বেশি। কিছু জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই অপেক্ষার সময় প্রায় ১৫ মিনিট। এছাড়া ই-মেইলে জবাব দানের ক্ষেত্রে অনেকটা শোচনীয় অবস্থা বিদ্যমান।