ঋষি সুনাক পদত্যাগের কথা ভেবেছিলেন
যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক চলতি সপ্তাহে পদত্যাগ করবেন কি-না এমন ভাবনা-চিন্তা করছেন। তার ধনাঢ্য স্ত্রীর ট্যাক্স নিয়ে অবস্থানের পর সৃষ্ট সমালোচনার তীব্র ঝড় ওঠায়, তিনি এমন চিন্তা করছেন। অনেকের মতে, সুনাক বিবেচনা করছেন এটা গ্রহন করে তার পরিবারকে মেনে নিতে পারেন কি-না। তবে একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সুনাক পদত্যাগের কথা ভাবেননি। ২০২০ সালে অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি চলতি সপ্তাহে সবচেয়ে বড়ো চাপের মধ্যে পড়েন। যখন তার স্ত্রী আকশাতা মূর্তি এটা নিশ্চিত করেন যে, তার ট্যাক্স সংক্রান্ত স্ট্যাটাস বা অবস্থান হচ্ছে, তিনি অনাগরিক, যার অর্থ হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের বাইরে তার আয় থেকে তিনি ট্যাক্স বা কর দেবেন না।
সমালোচকদের মতে, স্ট্যাটাসটি যখন বৈধ, তখন ব্যবস্থাটি ৬ এপ্রিল থেকে শ্রমিক-কর্মীদের ওপর কর বৃদ্ধির জন্য ঋষি সুনাকের সিদ্ধান্তের সাথে অসংগতিপূর্ন। আর সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে গ্রহন করা হয়েছে, যখন অনেক গৃহস্থালীকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির দরুন জীবনযাত্রার ব্যয় সংকোচন করতে হচ্ছে।
সুনাক বলেন, তার স্ত্রীর কর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশ্নসমূহ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এটা করা হচ্ছে।
এর কয়েক ঘন্টা পর মূর্তি বলেন, তিনি তার বিদেশী আয়ের ওপর ব্রিটিশ কর পরিশোধ করতে শুরু করবেন। এদিকে বিরোধী লেবার পার্টি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত দাবিসমূহের জবাবদানের জন্য ঋষি সুনাকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, সুনাক তার স্ত্রীর পারিবারিক ব্যবসা সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টসমূহের একজন উপকারভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত।
সুনাকের জনৈক মুখপাত্র বলেন, মূর্তি কিংবা সুনাকের পরিবারের কেউ কথিত ট্রাস্টসমূহ সম্পর্কে জানেন না।
সুনাকের স্ত্রী আকশাতা মূর্তি ভারতীয় আইটি জায়ান্ট ‘ইনফোসিস’ এর প্রতিষ্ঠাদের একজনের কন্যা এবং গত বছর তিনি কোম্পানীর ০.৯ শতাংশ শেয়ার থেকে ১১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড লাভ অর্জন করেন।
সুনাকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি তার ট্যাক্স সম্পূর্ন প্রদান করেছেন এবং কোন আইন কিংবা বিধি লংঘন করেননি।