মসজিদে হারামে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বায়ু বিশুদ্ধকরণ স্টেশন চালু
স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, সৌদী কর্তৃপক্ষ মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ অর্থ্যাৎ মসজিদে হারামে বিশ্বের দু’টি সর্ববৃহৎ কুলিং স্টেশন বা শীতলকারী কেন্দ্র স্থাপন করেছে। মুসল্লীরা যাতে প্রশান্তির সাথে নামাজ পড়তে পারেন, সেজন্য এই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
রমজান মাস হচ্ছে ওমরাহ পালনের সবচেয়ে ব্যস্ত মৌসুম। এই প্ল্যান্ট দুু’টি মসজিদে হারামের বায়ু বিশুদ্ধ রাখবে। সৌদী কর্তৃপক্ষ মক্কার মসজিদে হারাম ও মদীনার মসজিদে নববীতে হজ্ব পালনকারী ও মুসল্লীদের জন্য সর্বোত্তম সেবা প্রদানে অত্যন্ত উন্নতমানের প্রযুক্তি সংযোজন করেছে।
জেনারেল প্রেসিডেন্সী ফর দ্য অ্যাফেয়ার্স অব দ্য টু হলি মস্কেজ জানিয়েছে, তারা আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট এয়ার পিউরিফিকেশন টেকনোলোজি ব্যবহারের মাধ্যমে মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন সংক্রান্ত সাধারন প্রশাসনের পরিচালক প্রকৌশলী আমের আল লুকমানী বলেন, মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে দু’টি কুলিং স্টেশন রয়েছে, যেগুলো বিশ্বে এধরনের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ।
আজজইয়াদ স্টেশনটি ৩৫ হাজার ৩০০ রেফ্রিজারেশন টন উৎপাদন করে। এর মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ রেফ্রিজারেশন টন ব্যবহৃত হয় এবং নতুন সেন্ট্রাল স্টেশনের উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজার টন রেফ্রিজারেশন। প্রেসিডেন্সী মূল স্টেশনের পর ব্যাক আপ কুলিং স্টেশনসমূহ সরবরাহ করছে, টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্য। বায়ু বিশুদ্ধকরন প্রক্রিয়ায় শতভাগ বায়ু বিশুদ্ধকারন নিশ্চিত করা হয় তিনটি পর্যায়ে। প্রথমত: ফ্যানের মাধ্যমে ফিল্টারের মধ্যে বায়ু প্রবাহিত করা হয়। এরপর দূষিত পদার্থ ছেঁকে ফেলা হয় এবং পরে সেই বিশুদ্ধ বায়ু পরিসরে ফিরে আসে।
প্রকৌশলী আল লুকমানী আরো বলেন, আমরা বর্তমানে টার্মিনাল কুলিং বা শীতলকরন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি এবং আজইয়াদ স্টেশন থেকে সাড়ে ৫ হাজার টন শীতল বাতাস সরবরাহ করছি। এয়ার কন্ডিশনিং কক্ষগুলোর অভ্যন্তরের বায়ু বিশুদ্ধকারী ফিল্টারগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়। কাজটি অত্যন্ত পরিশ্রম সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এ কাজ করে থাকেন।