জরিমানা সত্ত্বেও পদত্যাগ করছেন না বরিস, সুনক

লকডাউন চলাকালীন কোভিড-বিধি ভাঙায় দোষী সাব্যস্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, তার স্ত্রী ক্যারি এবং অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনককে ৫০ পাউন্ড করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ জমা করলেও বিরোধীদের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর।
২০২২ সালে ব্রিটেন জুড়ে কড়া লকডাউন চলাকালীন বিধি ভেঙে একাধিক পার্টি করার অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে জন্মদিনের পার্টি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনের ক্যাবিনেট অফিসে। এই জরিমানা সেই কারণেই। নিয়ম ভাঙার জন্যে গতকাল এক বিবৃতিতে ব্রিটেনবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বরিস।
তিনি বলেছেন, ‘‘নিজের বানানো নিয়ম নিজেই ভেঙে ফেলার জন্যে মানুষ আমার উপরে ক্ষিপ্ত। আমার থেকে আরও ভাল কিছু আশা করতেই পারেন তারা।’’ জন্মদিনের সেই পার্টি প্রসঙ্গে বরিসের দাবি, মাত্র মিনিট দশেকের জন্যে ক্যাবিনেট রুমে ওই অনুষ্ঠান হয়েছিল। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ছোট্ট একটা জমায়েত হয়েছিল। বরিস বলেন, ‘‘সত্যি বলতে তাতে যে বিধিভঙ্গ হচ্ছে, সে সময় বুঝে উঠতে পারিনি।’’
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়ে নিলেও বুধবার দিনভর চুপ ছিলেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তবে দিনের শেষে তিনিও ক্ষমা চেয়েছেন। এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাকে সম্মান জানিয়ে জরিমানা দিয়েছি। মানুষের আস্থা বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের যে কোনও নিয়ম কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত বলেই মনে করি।’’
তবে ভেতরের খবর, জরিমানার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সুনক। কারণ পুলিশের কাছে সুনক জানিয়েছিলেন, বরিসের জন্মদিনের পার্টিতে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। পার্টি চলাকালীন বরিসের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যে তিনি ক্যাবিনেট রুমে গিয়েছিলেন। ২০২০-২০২১ সালে লকডাউন চলাকালীন বরিসের ১২টি পার্টি নিয়েই তদন্ত করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button