ইংল্যান্ডের শিক্ষার্থী ঋণের সুদ ১২ শতাংশে উন্নীত
ইংল্যান্ডের শিক্ষার্থী ও গ্র্যাজুয়েটদের এই শরৎকালে তাদের ঋণের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। ইনস্টিটিউট ফর ফিস্ক্যাল স্টাডিজ(আইএফএস) এ তথ্য জানিয়েছে। আইএফএস অনুসারে সুদের হারে সীমা বেঁধে দেয়ার পর ২০২৩ সালের মার্চে সুদের হার হ্রাস পাবে। সুদের হারের একটি রোলার কোস্টার আসছে, তবে পরিশোধের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বড়ো হবে না। যে সব শিক্ষার্থীর ২০২৩ সাল থেকে ডিগ্রী কোর্স শুরু হবে তাদের ক্ষেত্রে সুদের হার এক নিম্নপর্যায়ে নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে তাদের ঋণের ওপর সুদের হার মূল্যস্ফীতির রিটেইল প্রাইস ইনডেক্স পরিমাপে ৩ শতাংশ হারে যোগ করে হিসাব করা হবে। অনেকে যারা তাদের ডিগ্রীর জন্য কাজ করছেন এবং সুদ প্রদান করেননি পাঠ্যব্যবস্থায় তাদের ওপর চার্জ আরোপ হবে যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্যাগের বছর পর তারা তাদের প্রথম স্টেটমেন্ট পাচ্ছেন। গ্র্যাজুয়েশনের পর সুদের হার বেতনের সাথে যুক্ত হবে।
তাই যারা ২৭ হাজার ২৯৫ পাউন্ড কিংবা তার চেয়ে কম আয় করবেন তাদের ওপর আরপিআই চার্জ করা হবে, যদিও এর চেয়ে বেশি বার্ষিক আয় না করা পর্যন্ত তাদেরকে তা পরিশোধ করতে হবে না। যেসব গ্র্যাজুয়েট বার্ষিক উক্ত অংকের চেয়ে বেশি আয় করেন তাদের উপর আরপিআই প্লাস ৩ শতাংশ হারে সুদ আরোপ করা হবে।
গত বুধবারে স্থিরকৃত আরপিআই এর পরিমাণ আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করে, যার অর্থ হচ্ছে, এটা ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ শতাংশ থেকে। ২০১২ সালে ট্যুইশন ফী ৯ হাজার পাউন্ডে বৃদ্ধির পর থেকে ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য সুদের এই হার সর্বোচ্চ। ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টস-এর হিলারি গাইবি আবারিও এটাকে নির্দয় বলে আখ্যায়িত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সুদের হার ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলে সিস্টেম নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।