যুক্তরাজ্যে ঋণ খেলাপী গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে
বৃটেনের বৃহত্তম ব্যাংক গুলো বলেছে, তারা ক্রেডিট কার্ডের অর্থ ও অন্যান্য ঋণ পরিশোধে দুর্ভোগের সম্মুখীন গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির উদ্বেগের মধ্যে এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, হাইস্ট্রিটের অনিরাপদ ঋণদান ব্যবসায়ীরা ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ লোকজনের সংখ্যা বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করেছে, যা আগামী জুন পর্যন্ত বাড়তে পারে।
যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ ব্যাংকসমূহ ও ক্রেডিট কার্ড সরবরাহকারীগণ পরিচালিত ‘ক্রেডিট কন্ডিশন্স’ শীর্ষক তাদের ত্রৈমাসিক জরিপে দেখা গেছে, আগামী মাসগুলোতে ভোক্তাদের ঋণগ্রহণের চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
কনজিউমার ক্রেডিট এজেন্সি ইকুইফ্যাক্স ইউকে -এর চীফ ডাটা এন্ড এনালাইটিক্স অফিসার পল হেউড বলেন, পরিসংখ্যানসমূহে ক্রমশ শোচনীয় হয়ে পড়া পরিস্থিতির চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে, যা গত কয়েক মাস যাবত চলছে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশসমূহ আর্থিক সংকটে নিপতিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বল্পআয়ের পরিবারগুলোকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি লোকজনদের মাঝে ঋণের চাহিদা বৃদ্ধি করছে। বিশেষভাবে অনিরাপদ ঋণদান ক্রেডিট কার্ড এর অর্থ পরিশোধে এ ধরনের প্রক্রিয়া ও প্রভাব বেশী লক্ষণীয়। এর পাশাপাশি মূল্য বৃদ্ধির চাপ এবং সুদের হার এসব ডিসক্রিশনারি অর্থাৎ বিবেচনাধর্মী ঋণের চাহিদাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত মার্চে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে উন্নীত হয়, যা ১৯৯২ সালের পর সর্বোচ্চ। অপরদিকে অর্থনীতিবিদদের মতে, চলতি মাসে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি বার্ষিক ৯ শতাংশ অতিক্রম করতে পারে।
এটা ১৯৮২ সালে প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থেচারের প্রথম মেয়াদের শাসনামল থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আর্থিক সংস্থা ‘হারগিভস ল্যানসডাউন’এর অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সারাহ কৌলস বলেন, চলতি বছর থেকে ঋণ ও ক্রেডিট কার্ড এর চাহিদা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদেরকে অধিক ঋণ গ্রহণে বাধ্য করেছে।