ইংল্যান্ডের স্কুলসমূহে পুরুষ শিক্ষক স্বল্পতা চরমে
ইংল্যান্ডের সেকেন্ডারি স্কুলগুলোতে পুরুষ শিক্ষকের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। স্বল্প বেতনের কারনে এটা ঘটছে বলে অনেকের অভিমত। একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী থেকে আসা সিনিয়র শিক্ষকের অভাব থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের সংগ্রহ ও ধরে রাখার জন্য তাদের বেতনের স্বল্পতা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে পেশাটির সামগ্রিক গঠন প্রক্রিয়াও এক্ষেত্রে দায়ী।
সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে, সেকেন্ডারী অর্থ্যাৎ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর সেকেন্ডারী ও প্রাইমারী স্কুলসমূহের সিনিয়র শিক্ষক পদসমূহে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর শিক্ষক স্বল্পতাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইংল্যান্ডের ১০টির মধ্যে প্রায় ৯ টি রাষ্ট্রের অর্থে পরিচালিত স্কুলে তাদের সিনিয়র লীডারশীপ টিমে কোন সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর শিক্ষক নেই।
এই সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল এন্ড ইকোনোমিক রিসার্চ (আইএসআর), যারা শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য অবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে।
তারা দেখেছে যে, গত এক দশকে শিক্ষকদের বেতন ৯ শতাংশেরও বেশী হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জন ক্লাশরুম টিচার আর্থিকভাবে লাভবান হবে, যদি তারা শিক্ষকতা পেশা ত্যাগ করেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, জনবলে পুরুষেরা অধিক হারে কর্মস্থল ত্যাগ করেন এবং মজুরী লেভেলে তারা অধিকতর সংবেদনশীল। এর মানে হচ্ছে, মজুরীতে অবক্ষয় সেকেন্ডারী স্কুলগুলোতে পুরুষ শিক্ষকের অনুপাত হ্রাসের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের স্কুল ত্যাগের দরুন এধরনের শিক্ষক স্বল্পতা সৃষ্টি হচ্ছে। আইএসইআর-এর সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে, প্রতি বছর সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক পটভূমির শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটলেও সেক্ষেত্রে ধীরগতি লক্ষণীয়। প্রায় ৬০ শতাংশ রাষ্ট্র অর্থায়নকৃত স্কুলে একজনও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর কোন ক্লাশরুম শিক্ষক নেই।