লন্ডনবাসীদের ছেড়ে বরিস জনসন নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন না

‘রেডওয়াল’ রক্ষনশীলরা বরিস জনসনকে তাদের লোক হিসেবে ভাবতে পারেন, তবে তিনি দেশের একটি অত্যন্ত আলাদা একটি স্থানে রক্ষনশীলদের ‘হিরো’ বা ‘বীর’- সেই স্থানটি হচ্ছে লন্ডন। লন্ডনের রক্ষনশীলদের মাধ্যমে জনসন একটি বিখ্যাত বিজয় অর্জন করেন ২০০৮ সালে। তিনি এ বিজয় লাভ করেন লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে। এছাড়া এর মধ্যে দিয়ে তিনি তলানীতে নেমে আসা তার রাজনৈতিক জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
এর ৪ বছর পর তিনি সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে একটি দ্বিতীয় লেবার চ্যালেঞ্জকে বিদায় জানাতে সক্ষম হন। আমি পুটনির তৎকালীন এমপি হিসেবে উভয় নির্বাচনী প্রচারনার অংশ ছিলাম। আমরা বরিস জনসনের আজকের রেডওয়াল রক্ষনশীলদের সমতূল্য ছিলাম। তখন তিনি আমাদের তালিসম্যান বা ‘কবচ’ ছিলেন। ২০১৬ সালে যখন তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হয়ে এলো, তখন লন্ডনের কর্মীদের এটা বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়াতো যে, এর ঠিক ৬ বছর পর বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন রক্ষনশীল দল লন্ডনে তাদের এতো ব্যাপক পরাজয় হবে। লেবার পার্টি কাউন্সিলসমূহের ক্ষমতা গ্রহন করবে, এমনকি ওয়ান্ডসওয়ার্থ ও ওয়েস্টমিনিস্টারে কয়েক দশক পর তারা জয়লাভ করবে। কিন্তু বাস্তবে এটাই ঘটে।
আর এসবই রক্ষনশীলদের পরবর্তী বিজয়ের জন্য শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষভাবে রেডওয়াল টোরি বা রক্ষনশীলদের জন্য, যারা লন্ডনের রক্ষনশীলদের ভাগ্যবরণ পরিহার করতে আগ্রহী ছিলো।
রাজধানীতে যদি তার ক্ষেত্রে তা ঘটতে পারে, তবে তাদের ক্ষেত্রেও কি এটা ঘটতে পারে না? এই প্রশ্নের জবাব আসে এই বোঝাপড়া থেকে যে, লন্ডনে জনসনের বিজয় এসেছিলো আমাদের রাজধানীতে বৈচিত্র্যপূর্ন সম্প্রদায়সমূহ নিয়ে গঠিত সম্প্রদায়গুলোর নিকট আবেদনসহ একটি রাজনৈতিক জোট বা কোয়ালিশন থেকে। আর লন্ডনের নির্বাচনে জিততে একজন রাজনীতিকের এটাই একমাত্র উপায়। আমি পুটনীতে চারটি নির্বাচনে জিতেছি আমার স্থানীয় বৈচিত্রপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোর জন্য কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, বিভাজনের মাধ্যমে নয়।
আবার জিততে হলে বরিস জনসনকে তার আগের রাজনৈতিক কোয়ালিশন গঠনের দিকে ফিরে যেতে হবে। এর মানে হচ্ছে, আংশিকভাবে নয়, গোটা দেশব্যাপী একটি লেভেলিং-আপ প্ল্যান বা সমান পরিকল্পনা প্রদান করতে হবে। -জাস্টিন গ্রীনিং

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button