যুক্তরাজ্যে সস্তা খাদ্যের দিন শেষ
ব্রিটেনের গৃহস্থালীগুলোকে এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে যে, যুক্তরাজ্যে সস্তা খাদ্যদ্রব্য লাভের দিন শেষ। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের দরুন দেশটির প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ বাধ্য হচ্ছেন কম খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ে। সম্প্রতি এক সরকারী সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেইনসবেরি’র প্রাক্তন চীফ জাস্টিন কিং বলেন, ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে আর্থিক দিক দিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতাদের এখন অর্থ খরচ করতে অনেক ভাবনা-চিন্তা করতে হচ্ছে। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি তাদেরকে এই কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।
কিং আরো বলেন, আমরা সম্ভবত: একটি স্বর্ণযুগ পেরিয়ে এসেছি। এটা এখন বদলে যাবে। লোকজনকে এখন তাদের পরিবারের বাজেটের অগ্রাধিকার বাছাইয়ে একাধিকবার ভাবনা-চিন্তা করতে হচ্ছে। আমার সন্দেহ, আমাদেরকে হয়তো দীর্ঘসময়ের জন্য খাদ্যের পেছনে উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হবে। তার কথার প্রতিধ্বনি করে খুচরো ও খামার শিল্পের কর্তাব্যক্তিরাও বলেছেন, গৃহস্থালীগুলোকে মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হতে পারে।
সরকারী সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত এপ্রিলে সামগ্রিকভাবে ৯ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। অপরদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এই বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যে, চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা ১৯৮২ সাল থেকে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ। অধিকাংশ সুপার মার্কেটের প্রতিনিধিত্বকারী ‘ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (বিআরএস)- এর প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকিনসন বলেন, ভোক্তারা এখন কঠিন সময় পার করছেন। বৈশ্বিক খাদ্যমূল্যে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, যার জন্য ক্রমবর্ধমান জ্বালানী ও পরিবহন ব্যয় এবং কঠোর শ্রম বাজার বিশেষভাবে দায়ী। সুপার মার্কেটগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা নিত্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধিকে অনেকাংশে সীমিত রাখলেও খাদ্য শিল্পের ওপর চাপ খুব শিগগির হ্রাসের সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।