নার্স ও ধাত্রীদের এনএইচএস ত্যাগ ৪ বছরে সর্বোচ্চ
গত বছর ২৭ হাজারেরও বেশী নার্স ও ধাত্রী এনএইচএস ত্যাগ করেন। গত ৪ বছরের মধ্যে এটা সংখ্যায় সর্বোচ্চ। এজন্য অনেকে চাকুরীর চাপ, কভিড মহামারি এবং নিম্নমানের রোগী সেবাকে দায়ী করেছেন। এনএইচএস-তে নার্স সংকট সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্থানীয়ভাবে রিক্রুটমেন্টে স্থবিরতা থাকায় বিদেশে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত নার্স ও ধাত্রীদের ওপর অধিকতর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বুধবার প্রকাশিত নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (এনএমসি)- এর এক রিপোর্টে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে এই দু’টি পেশায় পেশীজীবিদের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, যার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৩। তা সত্বেও প্রতি সপ্তাহে এখন অর্ধ সহস্রাধিক নার্স ও ধাত্রী এনএইচএসের চাকুরী ত্যাগ করছেন।দেখা গেছে, যখন ৪৮ হাজার ৪৩৬ জন নার্স ও ধাত্রী রেজিষ্টারে যুক্ত হয়েছেন, তখন গত বছর ২৭ হাজার ১৩৩ জন কাজ বন্ধ করেন।
এনএমসি- এর প্রধান নির্বাহী এন্ড্রু সাচলিফ বলেন যে, যখন রেকর্ড সংখ্যক নার্স ও ধাত্রী থাকার বিষয়টি একটি সুসংবাদ, তখন আমাদের তথ্য উপাত্তে কিছু উদ্বেগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি চাকুরী ছেড়ে যাওয়া স্টাফদের সংখ্যা উল্লেখ করে বলেন, যারা চাকুরী ছেড়েছেন তাদের অনেকে মহামারিকালে তারা যে চাপের সম্মুখীন হন, তা জানিয়েছেন।
এনএমসি গত বছর চাকুরীত্যাগকারী প্রায় সাড়ে ৬ হাজার নার্স ও ধাত্রীকে প্রশ্ন করলে, তারা চাকুরী ছাড়ার প্রধান তিনটি কারন উল্লেখ করেন। এগুলো হচ্ছে, অতিরিক্ত চাপ (অভিমত দেন ১৮.৩ শতাংশ), কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক সংস্কৃতি (১৩ শতাংশ) এবং কভিড (১১.৮ শতাংশ)। এছাড়া রোগীদের প্রাপ্ত সেবার মান নিয়ে মোহভঙ্গও এর একটি প্রধান কারন। এছাড়া ব্যক্তিগত পরিস্থিতি পরিবর্তন ও অবসর গ্রহনও এজন্য দায়ী। কারন হিসেবে রোগীদের প্রাপ্ত সেবার মান নিয়ে মোহভঙ্গের কথা বলেছেন ৮.১ শতাংশ এবং অবসর গ্রহনকে কারন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৪২.৯ শতাংশ। ২১.৭ শতাংশ বলেছেন ব্যক্তিগত পরিস্থিতি পরিবর্তনের কথা।