আমেরিকা ও ইউরোপজুড়ে আতঙ্ক
সমকামী ও উভকামী যৌনচক্রে ছড়িয়েছে মাঙ্কি ভাইরাস!
আমেরিকা ও ইউরোপজুড়ে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এবার ভাইরাসের সংক্রমণ-পথ চিহ্নিত করতে, বিভিন্ন ‘বার’ ও ‘সনা’য় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তাদের আশঙ্কা মূলত সমকামী ও উভকামী পুরুষদের যৌনচক্র থেকেই ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ।
গত ৭ মে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মেলে লন্ডনে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, আফ্রিকাতেই কোনোভাবে ওই ব্যক্তি এ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন। কিন্তু তার পর কীভাবে আরও ছয় জন এই রোগে সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ছয় জন সমকামী ও উভকামী পুরুষ। সম্প্রতি পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন এই ছয় জনের প্রত্যেকেই। শুধু ব্রিটেন নয়, স্পেন ও পর্তুগালে যথাক্রমে ৭ ও ৯ জন পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে, যাদের অধিকাংশই সমকামী কিংবা উভকামী পুরুষ বলেই জানা গেছে। তাই সমকামী পুরুষদের আপাতত অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা।
আফ্রিকা থেকে ছড়ায় রোগটি। কানাডায় ১৩ জনের শরীরে এ রোগ শনাক্ত হয়েছে, আর সর্বশেষ পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রে একজনের শরীরে। এছাড়া পর্তুগালে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ জন, সাত জন ও ব্রিটেনে ৯ জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশ মৃদু। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতোই এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মাংকি পক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে- জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জয়েন্ট এবং মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ। জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের সব জায়গায়। এই গুটির জন্য রোগীর দেহে চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। গুটি বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়।