টার্কিশ এয়ারলাইন্স বিশ্বে নবম বৃহত্তম বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স
মাত্র ২৮ আসন নিয়ে শুরু হয়েছিল টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর পথচলা। এখন এই এয়ারলাইন্স বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স, যার রয়েছে ৩৭২ টি প্লেন বা এয়ারক্রাফট। এয়ারলাইনস টি সম্প্রতি তার ৮৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে। ১৯৩৩ সালের ২০ মে ‘স্টেট এয়ারলাইন্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে ডিফেন্স মিনিস্ট্রির একটি ডিপার্টমেন্ট বা বিভাগ হিসেবে টার্কিশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এই এয়ারলাইন্সে স্টাফ সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪ জন। এদের মধ্যে সাতজন পাইলট ও আটজন মেশিনিস্ট, একজন সিভিল সার্ভেন্ট এবং একজন রেডিও অপারেটর। বর্তমানে স্টাফ সংখ্যা নিউ ব্রান্ডের অধীনে ২৭ হাজার শ্রমিক সহ প্রায় ৬০ হাজার।
যে বিমান বহর নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল, এতে ছিল দুটি ৫ আসনের কিং বার্ড, দুটি ৪ আসনে জাংকার এফ -১৩ এবং একটি ১০ আসনের এটিএইচ-৯ বিমান। বর্তমানে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর বিমান বহরে রয়েছে ২৪৮টি স্বল্পপরিসর এয়ারক্রাফট, ১০৪ টি সুপরিসর বিমান এবং ২০টি কার্গো বিমান। ২০০৬ সালে তাদের ছিলো মাত্র ১০০টি এয়ারক্রাফট এবং ২০১২ সালে এ সংখ্যা দ্বিগুনে উন্নীত হয়।
বাণিজ্যিক এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর অবস্থান এখন নবম। আকারের দিক দিয়ে বিশ্বে তরুণতমদের একটি এবং সবচেয়ে আধুনিক বিমান বহরে নিয়ে গঠিত এই এয়ারলাইন্স। এছাড়া কার্বন নির্গমন ও শব্দ দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে এই এয়ারলাইন্সে ৭৯টি নেক্সট জেনারেশন হাইটেক পরিবেশ বান্ধব এবং ফিউয়েল ইফিসিয়েন্ট অর্থাৎ জ্বালানি সাশ্রয়ী এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে ফ্লাইটসমূহ ৩৩১টি নগরী ও ৩৩৬টি এয়ারপোর্টসহ ১২৮ টি দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে তুরস্কের ভেতরে ৫১টি নগরী ও ৫৩টি এয়ারপোর্ট রয়েছে।
উল্লেখ্য ১৯৪৭ সালে এর প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয় গ্রিসের এথেন্স নগরীতে। বর্তমানে এর নেটওয়ার্ক বিশ্বের ২৮০ টি নগরীর ২৮৩টি বিমানবন্দরে বিস্তৃত। করোনাভাইরাস মহামারীর আগে টার্কিশ এয়ারলাইন্স বার্ষিক ৮ কোটি যাত্রী বহনের রেকর্ড সৃষ্টি করে।