যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা ৩শ’ শতাংশ বৃদ্ধি

গত ৪ বছরে যুক্তরাজ্যে অপেক্ষমাণ আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ৩শ’ শতাংশেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। এক নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের মার্চের শেষভাগ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩৫ জন আশ্রয়প্রার্থী সিন্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন, যা দুই বছর আগের অপেক্ষমানদের সংখ্যায় দ্বিগুন এবং ২০১৮ সালের মার্চের তুলনায় ৩০৩ শতাংশ বেশী, যা সংখ্যায় ২৭২৫৬। ক্যাম্পেইনার অর্থ্যাৎ প্রচারণাকারীরা এই সংখ্যা বৃদ্ধিকে ভীষণ উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং মন্ত্রীদেরকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা আশ্রয় আবেদনসমূহের বিষয়ে সুষ্ঠু পদ্ধতি গ্রহন এবং জরুরী ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
আশ্রয় দাবির পদ্ধতি ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি সত্বেও হোম অফিস ২ বছর আগের তুলনায় ২৯ শতাংশ ধীর গতিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত প্রদান করতে দেখা গেছে গত বছর।
২০১৮ সালের অপেক্ষমানের ৩১ হাজার ৫১৬ সংখ্যার তুলনায় বর্তমানে অপেক্ষমানের সংখ্যা ৭৩ হাজার ২০৭। এসব আশ্রয়প্রার্থী পুরুষ নারী ও শিশুকে বর্তমানে সিদ্ধান্ত পেতে ৬ মাসেরও বেশী অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যাও।
দেখা গেছে, ২০২২ সালের মার্চের শেষভাগে ৬৫ হাজার ৮ ব্যক্তি আশ্রয় দাবির আবেদন দাখিল করেন, যা ২ বছর আগের তুলনায় ৫৬ শতাংশেরও বেশী এবং গত প্রায় ২ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে ৪ হাজার ৫৪০ জন ক্ষুদ্র নৌকায় যুক্তরাজ্যে আসেন। এ সংখ্যা ২০২১ সালের একই সময়ের ৩ মাসের চেয়ে তিনগুন বেশী, যা ছিলো তখন১ হাজার ৩৬৩ জন । প্রতি ৪ টি নৌকার একটি এসেছে আফগানিস্তান থেকে অর্থ্যাৎ ২৪ শতাংশ। ২০২২ সালের মার্চের শেষ নাগাদ ৮৫ হাজার ৭ জন আশ্রয় সহায়তা লাভ করে, যা ২ বছরের মধ্যে ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি। এসব ব্যক্তির মধ্যে ১০ হাজার ব্যক্তিকে হোটেলে জায়গা দেয়া হয়েছে, যার জন্য দৈনিক ব্যয় প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন পাউন্ড। আশ্রয় প্রার্থী লোকজনের অধিকাংশের দাবি, তাদেরকে কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, যার ফলে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button