পদত্যাগ এড়াতে বরিস জনসন আইন পরিবর্তন করছেন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ এড়াতে মিনিস্টারিয়াল কোড অর্থাৎ মন্ত্রিত্ব সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন। নতুন আইন অনুযায়ী আইন লঙ্ঘনের জন্য মন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা সাময়িকভাবে বেতন হারানোর নিয়ম থাকবে। বরিস জনসনের এই উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত শুক্রবার এক পলিসি বিবৃতিতে তিনি বলেন, কেউ আইনের লংঘন করলেই, তা ক্ষুদ্র হোক, আপনা আপনি তার পদত্যাগ কিংবা বরখাস্ত সংঘটিত হবে এটা প্রত্যাশা করা অসমানুপাতিক।
একটি নতুন মিনিস্টারিয়াল কোড বা মন্ত্রিত্ব বিষয়ক আইন প্রকাশিত হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে মন্ত্রীরা জনসমক্ষে ক্ষমা, প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা কিংবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেতন না পাবার সম্মুখীন হলেও মন্ত্রীত্ব হারাবেন না, যদি তারা প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ধরে রাখতে পারেন।
নীতিমালা পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, সম্ভাব্য দলীয় কারণে তুচ্ছ কিংবা বিরক্তিকর অভিযোগে শাস্তি বা প্রণোদনা এড়ানো বা পরিহার।
এ ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে এমন এক সময়, যখন বরিস জনসন প্রিভিলেজ কমিটি কর্তৃক এই মর্মে তদন্তের সম্মুখীন যে, তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন কিনা।
কারণ তিনি বলেছিলেন, লকডাউনের সময় ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে কোন অনুষ্ঠান হয়নি এবং সবসময়ই লকডাউনের নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
নতুন মিনিস্টারিয়াল কোডে আরও বলা হয়েছে যে, যদি কোন মন্ত্রী জ্ঞাতসারে হাউজ অব কমন্সকে বিভ্রান্ত করেন, তখন এটা একটি পদত্যাগের বিষয়ে বলে বিবেচিত হবে। এছাড়া দিক নির্দেশনার ক্ষেত্রে পরিবর্তনসমূহের আওতায় জনসন এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন যে, তার নিরপেক্ষ উপদেষ্টার মন্ত্রীদের কিংবা প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে তার অনুমতি ছাড়াই তদন্ত পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকা উচিত।
বর্তমানে রানীর একজন সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার গিডট্ ভবিষ্যতে তদন্ত পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন, তবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে, যিনি চাইলে যেকোন তদন্ত কার্য বন্ধ করে দিতে পারবেন।