অকপটে দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন জনসন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনা মহামারির সময় কয়েকটি পার্টিতে নিজের উপস্থিতির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন। করোনা মহামারির কারণে যখন ব্রিটেনজুড়ে লকডাউন চলছিল এবং গণজমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল তখন এসব পার্টির খবর প্রকাশের ঘটনা জনসন সরকারের জন্য বড় ধরনের কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে এবং একে ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে।
প্রায় ছ’মাস ধরে তদন্তের পর সম্প্রতি এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে ২০২০ সালে মহামারির মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে হওয়া একাধিক পার্টির ছবি ও বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে; যেগুলোর বেশির ভাগই আইন ভেঙে আয়োজন করা হয়েছিল।
সিনিয়র সরকারি আমলা সু গ্রে’র তৈরি করা রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে: “মহামারির সময় যখন সাধারণ মানুষের জীবনে একের পর এক দুরূহ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, সে সময়ে সরকারের এই ধরনের আচরণ কোনও যুক্তিতেই সঠিক প্রমাণ করা অসম্ভব।”
২০২০ সালের ১৯ জুন নিজের জন্মদিনের পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সাথে ক্যাবিনেট সচিব সাইমন কেস। এই রিপোর্ট প্রকাশের একদিন পর বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্সে দাঁড়িয়ে জনসন বলেছেন, গোটা বিষয়ের যাবতীয় দায়ভার তিনি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনা থেকে আমি শিক্ষা পেয়েছি। সার্বিকভাবে আমি জানাচ্ছি, আমার উপস্থিতিতে যা কিছু ঘটেছে তার সব কিছুর সম্পূর্ণ দায়ভার আমি নিচ্ছি।”
এসব পার্টিতে যোগদানকারী বহু মানুষকে ব্রিটিশ পুলিশ জরিমানা করলেও তাদের নাম প্রকাশ করেনি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসনের বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা বিশেষ করে লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রী জনসনের পদত্যাগ দাবি করেছেন।