‘লন্ডন হাউজিংয়ে আমরা বরিস জনসনের ভুল করবো না’

লন্ডন মেয়র সাদিক খান বলেছেন যে, তিনি দক্ষিণ লন্ডনের একটি কাউন্সিল এস্টেটে বড়ো হয়েছেন। তাই তিনি জানেন পরিবারগুলোর নিরাপত্তার জন্য কাউন্সিল হাউজিং কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বসবাসের জন্য লন্ডনের প্রত্যেক বাসিন্দার একটি মৌলিক অধিকার রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। লক্ষনীয় যে, হোয়াইট হল থেকে সাবেক মেয়রদের ব্যয় সংকোচন নীতি লন্ডনবাসীদের জন্য হাউজিং ব্যয় শুধু বৃদ্ধিই করেছে। লন্ডনে একটি গড়পড়তা বাড়ি কিনতে ব্যয় বৃদ্ধির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা তাদের গড় আয়ের চেয়ে ৭ গুণ থেকে ১৪ গুনে উন্নীত হয়েছে।
ইতোমধ্যে আন্ডার-রেগুলেটেড প্রাইভেট ভাড়া খাতে বসবাসকারী লন্ডনবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান ভাড়া এদের অনেককেই দুর্ভোগে ফেলেছে। তাদের পক্ষে কোন অর্থ সঞ্চয় করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেয়র বলেন, দশকব্যাপী বিদ্যমান হাউজিং সমস্যা সমাধানে সময় লাগবে। তবে আমরা রাজধানীতে সঠিক পন্থায় চূড়ান্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করছি।
জানা গেছে, সিটি হল বারা ও হাউজিং এসোসিয়েশনসমূহের সাথে কাজ করতে গিয়ে গত বছর রেকর্ড সংখ্যক স্বল্প ব্যয়ের ১৮ হাজার ৭২২টি বাড়ির জন্য অর্থ প্রদান করেছে। ২০১২ সালে লন্ডনকে হাউজিং অর্থাৎ আবাসন খাতে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষমতা প্রদানের পর থেকে এটা শুধু যে একটি রেকর্ড, তা নয় বরং ২০০৩ সাল থেকে সর্বোচ্চ।
মেয়র সাদিক খান আরো বলেন, লন্ডনে গৃহীত আমাদের চূড়ান্ত পদক্ষেপ গৃহনির্মাণে পুনরুত্থান ঘটিয়েছে এবং তখন যে হারে নির্মান কাজ হয়েছে তা সত্তরের দশকের পর আর কখনো দেখা যায় নি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চে আমরা ১০ হাজার নতুন কাউন্সিল হোম নির্মাণে আমার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছি। এছাড়া গত বছর প্রায় ১০ হাজার বাড়ির জন্য অর্থায়ন করা হয়েছে, যার অধিকাংশ বাড়িতে লন্ডন লিভিং রেন্ট কিংবা অংশিদারিত্বমূলক মালিকানার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক ও অন্যান্যদের বসবাসের ব্যবস্থা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, গত বছর লন্ডনব্যাপী নতুন নির্মিত বাড়িঘরের চাবি পেয়েছে ১০ হাজার পরিবার।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button