জ্বালানী মার্কেটের জরুরী সংস্কার চান ঋষি সুনাক
ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেছেন, ভবিষ্যতে গৃহস্থালীগুলো যাতে বড়ো ধরনের মূল্যবৃদ্ধির দরুন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য জ্বালানী মার্কেটের জরুরী সংস্কার প্রয়োজন। অবশ্য তিনি এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যে কোন পরিবর্তনের জন্য সময় লাগবে।
ফ্রান্সে ২০২২ সালের জন্য জ্বালানী প্রাইস ক্যাপ মাত্র ৪ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রাইস ক্যাপ ১২ শতাংশ এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। এপ্রিলের বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ ডেবিটের মাধ্যমে পরিশোধিত দ্বৈত জ্বালানী ব্যবহারের সাধারন পর্যায়ের জন্য ৭০০ পাউন্ডের সমতুল্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকোচন অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে ভোক্তারা অক্টোবরে ৮০০ থেকে ২৮০০ পাউন্ডেরও বেশী জ্বালানীর প্রাইস ক্যাপ বৃদ্ধিতে পতিত হন।
মানি সেভিং বিশেষজ্ঞ মার্টিন লিউয়িস মিঃ সুনাককে এই বলে পরামর্শ দেন যে, তিনি জ্বালানী বিলের আকাশচুম্বী বৃদ্ধি ঠেকাতে জ্বালানী বিল কতোটুকু বৃদ্ধি করা যাবে তার পরিসীমা বেঁধে দেয়ার মাধ্যমে তাদের পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। এর জবাবে চ্যান্সেলরের বক্তব্য হচ্ছে, আমাদের একিট স্বাধীন রেগুলেটর বা নিয়ন্ত্রক রয়েছে, যা এটা করছে এবং আমাদের একটি প্রাইস ক্যাপ অর্থ্যাৎ মূল্য পরিসীমা রয়েছে। অন্যান্য অনেক দেশে তা নেই।
অবশ্য সুনাক এটা স্বীকার করেন যে, তিনি যেভাবে চাইছেন সেভাবে রেগুলেটর কাজ করছে না। তিনি জ্বালানী মার্কেট সংস্কারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি যে, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো আমরাও একইভাবে মার্কেট সংস্কার করবো। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে। তবে এটা করার সর্বোত্তম পন্থা জরুরীভাবে খুঁজে বের করতে আমি কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, আমি এই ধারনার প্রতি সহানুভূতিশীল যে, আমরা যেভাবে চাইছি সেভাবে কাজ হচ্ছে না। বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা অত্যন্ত উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ দিচ্ছে, প্রাকৃতিক গ্যাসের অত্যন্ত উচ্চ মূল্যে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয়ের মূল্যের ভিত্তিতে নয়। এটা উত্তম নয়। আমরা দেখতে চাই কীভাবে এটাকে নির্ধারন করা যায়। অন্যান্য অনেক দেশ এটাই করেছে।