৫ জন বন্দী ব্রিটিশ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে তালেবান
আফগান তালেবানরা আফগানিস্তানে আটক কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। গত সোমবার আফগান তালেবান ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ব্রিটিশ নাগরিকদের মুক্তি দেয়া হয়। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, আফগান ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পর বন্দীদের মুক্তি দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু ব্রিটিশ নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে, যাদেরকে কয়েক মাস আগে আইন ও আফগান জনগনের প্রচলিত রীতিনীতি ভঙ্গের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিলো। বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তি প্রাপ্ত ব্রিটিশ নাগরিকরা সকলেই আগানিস্তানের আইন, রীতিনীতি ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং এগুলো আর কখনো লংঘন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অবশ্য মুজাহিদরা ব্রিটিশ নাগরিকরা কোন কোন্ আইন লংঘন করেছেন কিংবা আটকের কারন সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করেননি।
আফগান কিংবা ব্রিটিশ সরকার কেউই ঐ ব্রিটিশ নাগরিকদের পরিচতি প্রকাশ করেনি এবং এদের মধ্যে বিবিসি’র সাবেক ক্যামেরাম্যান পিটার জৌভনাল আছেন কি-না তা জানা যায়নি।
গত ফেব্রুয়ারী মাসে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে জানায় যে, বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক তালেবানদের হাতে বন্দী আছেন। যদিও সরকার বন্দীদের পরিচিতি প্রকাশ করতে রাজী হয়নি। জৌভনালের স্ত্রী সংবাদিকদের বলেন যে, ব্যবসায়ীতে রূপান্তরিত সাবেক ফ্রিল্যান্স ক্যামেরাম্যানকে গত ১৩ ডিসেম্বর ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রিটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ্ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস গত সোমবার এক বিবৃতিতে বলে, আমরা বর্তমান আফগান প্রশাসন কর্তৃক ৫ জন ব্রিটিশ নাগরিকের মুক্তিকে স্বাগত জানাই ও প্রশংসা করি, যারা আফগানিস্তানে আটক হয়েছিলেন।
অবশ্য একজন মার্কিন নাগরিকের ভাগ্যে কী ঘটেছে জানা যায়নি, যিনি তালেবানদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বলেন, ওয়াশিংটন তালেবানদের হেফাজত থেকে মার্কিনীদের মুক্ত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
ব্রিটিশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয় যে, ব্রিটিশ নাগরিকরা যুক্তরাজ্য সরকারের কোন কাজে আফগানিস্তানে যাননি। তারা যুক্তরাজ্য সরকারের ভ্রমন সংক্রান্ত পরামর্শের বিরুদ্ধে সেখানে গিয়েছিলেন। এটা একটি ভুল কাজ ছিলো।