উপ-নির্বাচনে আসন হারানোর ঝুঁকিতে রক্ষনশীল দল
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি তার নিজ এমপিদের আস্থা ভোটে টিকে গেলেও দু’টি গুরুত্বপূর্ন উপ-নির্বাচন তার জন্য সহজ সাধ্য হবে না, এমন অভিমত অনেকের। ইংল্যান্ডের বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত ওয়েকফিল্ড ও টিভার্টন এবং হনিটন- এর উপ-নির্বাচনে ভোটারদের রায় তাকে হজম করতে হবে। অনেকের মতে, ব্যালটের এই রায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য সুখকর না-ও হতে পারে। তাদের মতে ওয়েইকফিল্ডের আসন ধরে রাখতে তার দলকে রীতিমতো বড়ো ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে হতে পারে। এটা হচ্ছে তথাকথিত ‘রেডওয়াল’ আসনসমূহের একটি, যা রক্ষনশীল দল ২০১৯ সারে বাগিয়ে নিয়েছিলো। ১৯৩১ সালের পর এর আগে তারা আর কখনো এখানে জয়ী হতে পারেনি।
লেবার পার্টি যদি রক্ষনশীল দলের ৪ শতাংশের মতো ভোট টানতে পারে তবে কেইর স্টার্মারের জন্য এই আসনটি বাগিয়ে নেয়া সম্ভব। আর তা করতে পারলে এটা হবে তার নেতৃত্বে লেবার পার্টির প্রথম নির্বাচনী বিজয়ের সোপান।
একথা সত্য যে, ব্রেক্সিট পার্টি ২০১৯ সালে স্থানীয় ভোটের ৬ শতাংশ জয় করেছিলো, যে ভোট এখন রক্ষনশীলরা বাক্সে পুরতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এমন লক্ষন দেখা যাচ্ছে যে, লেবার পার্টি আসনটি অনায়াসে জিতে নিতে পারে। এই আসনের ভোটাররা তাদের স্থানীয় কাউন্সিলরদের জন্য ভোট দিতে গিয়েছিলো ঠিক গত মাসে। তখন আসনটি জুড়ে লেবার পার্টি রক্ষনশীলদের তুলনায় ৩৪ থেকে ৫১ শতাংশ ভোটে এগিয়ে ছিলো।
অপর টিভার্টন এন্ড হনিটনের উপ-নির্বাচন কঠিন প্রকৃতির। এটাকে রক্ষনশীলদের নিরাপদ আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৯ সালে দলটি ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। এসময় লেবারের চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলো তারা। টিভার্টটন ও হনিটনের লেবার সমর্থকেরা কী সিদ্ধান্ত নেয়, এটা হবে বৃহস্পতিবারের দু’টি নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য। রক্ষনশীলরা এখন পার্টিগেট ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কতটুকু সমর্থন লাভ করতে পারে ভোটারদের, এটাই এখন দেখার বিষয়।