বরিস জনসনের বিরুদ্ধে প্রেমিকাকে উচ্চপদে চাকুরী প্রদানের অভিযোগ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার প্রেমিকা ক্যারি সিমন্ডসকে একটি শীর্ষস্থানীয় চাকুরী প্রদানের বিষয়টি অস্বীকারে ব্যর্থ হয়েছেন। হাউস অব কমন্সে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অভিযোগ করা হয় যে, বরিস জনসনকে তার হবু স্ত্রীকে তার চীফ অব স্টাফ বানানো থেকে বিরত করা হয়। এক্ষেত্রে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া হাউস অব কমন্স- এর অধিবেশনে এই মর্মে একটি সমীক্ষার বিষয়টি উপস্থাপিত হয় যে, ব্রেক্সিট এই দশকের অবশিষ্ট সময় জুড়ে ব্রিটেনের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং শ্রমিকদের মজুরীকে স্থবির করে দেবে।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স এর সহায়তায় তৈরী থিংক ট্যাংক ‘দ্য রিজোলিউশন ফাউন্ডেশন’- এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইইউ ত্যাগ ব্রিটেনকে ২০২০- এর দশক ব্যাপী দরিদ্রতর করে রাখবে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। মে পর্যন্ত গত ১২ মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.১ শতাংশে পৌঁছে। অপরদিকে, সরকার ইতোমধ্যে হাউস অব কমন্সে একটি নতুন ‘বিল অব রাইটস্’- এর প্রস্তাব এনেছে, যা সরকারকে একটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিদেশী অপরাধীদের বহিষ্কারের ক্ষমতা দেবে।
বরিস জনসন বলেছেন, যখন আমাদের অভ্যন্তরীন সম্পদ রয়েছে তখন কয়লা আমদানি যৌক্তিক নয়। হাউস অব কমন্সে রক্ষনশীল দলের এমপি ক্রিস গ্রিন অভিযোগ করে বলেন যে, জার্মানী ও চীনের মতো দেশ সবচেয়ে বাজে জীবাশ্ম জ্বালানী লিগনাইট ব্যবহার করছে। এতে সুবিধা পেলেও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি ইংগিত প্রদান করেন।
কার্বন নিঃসরন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন বলেন, আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি যে, আমরা দেশে কার্বন নিঃসরন কমিয়ে এনেছি। তিনি জনৈক লেবার এমপি-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘যদি আপনি দেশের শ্রমিক শ্রেণীর লোকজনকে সহায়তা করতে চান, তবে ‘পিকেট লাইন’ অর্থ্যাৎ কর্মবিরতির পন্থা থেকে সরে আসুন’।