বরিস জনসনের হাসপাতাল স্থাপনের নির্বাচনী ওয়াদা প্রশ্নের সম্মুখীন

রক্ষনশীল দলের ৪০ টি নতুন হাসপাতাল তৈরির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এখন সরকারের ব্যয় পর্যবেক্ষক সংস্থার পর্যালোচনার সম্মুখীন। রক্ষনশীল দল ২০১৯ সালের নির্বাচনকালীন সময়ে এই প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং এই কর্মসূচী ঘিরে বিলম্বের বিষয়ে একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং করদাতাদের অর্থের অপচযের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ন্যাশনাল অডিট অফিস (এনএও)- এর কম্পট্রোলার বলেন, তার অফিস এ বছরের শেষ দিকে এ ব্যাপারে একটি ‘ভ্যালু ফর মানি রিভিউ’ পরিচালনা করতে চায়। মিঃ স্ট্রিটিং রক্ষনশীলদের বিরুদ্ধে অতি প্রতিশ্রুতিদান ও কম বাস্তবায়নের অভিযোগ করেন। ২০১৯ সালের রক্ষনশীলদের ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়:’ আমরা আগামী ১০ বছরে ৪০ টি নতুন হাসপাতাল তৈরী ও এজন্য অর্থায়ন করবো।’
বরিস জনসন এই প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করেন এবং আরো ৪০ টি হাসপাতালের কথা বলেন। তবে শুধুমাত্র একটি নতুন হাসপাতাল হিসেবে এখনো কোন হাসপাতালের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। গত বছর ‘ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ্ এন্ড সোশ্যাল কেয়ার’ এনএইচএস স্ট্রাস্টস- এর কাছে পাঠানো এক দিকনির্দেশনায় বলে যে, একটি নতুন হাসপাতাল হচ্ছে একটি নতুন স্থান কিংবা বর্তমান এনএইচএস ভূমিতে সামগ্রিক দিয়ে একটি নতুন হাসপাতাল নির্মান। একটি বিদ্যমান সাইটে একটি প্রধান নতুন ক্লিনিক্যাল বিল্ডিং কিংবা একটি বিদ্যমান হাসপাতালের একটি নতুন উইং বা শাখা স্থাপন। এছাড়া বিল্ডিং কাঠামো কিংবা মূল কাঠামো ছাড়া একটি বড়ো ধরনের সংস্কার কার্য কিংবা পরিবর্তনের কাজ।
তদন্তের বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে মিঃ স্ট্রিটিং বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষনশীল দলের অতি প্রতিশ্রুতি ও কম বাস্তবায়নের আরেকটি উদাহরন। ৪০ টি নতুন হাসপাতাল বিদ্যমান থাকার বিষয়টি বরিস জনসনের কল্পনা মাত্র। তার কল্পনাতেই শুধু এগুলোর অবস্থান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button