সাইরেনের শহর ফরিদপুর
গতকাল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক দন্ডাদেশ দেয়াকে উপলক্ষ করে ফরিদপুর শহর সাইরেন এর নগরে পরিণত হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়। এ উপলক্ষে ফরিদপুর শহরে দুই প্লাটুন বিজিবি, আড়াই প্লাটুন আর্মড পুলিশ মোতায়েনসহ সারা শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিদ্র করতে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যেনো কোনো মহাশত্রুর মোকাবিলায় যুদ্ধংদেহী অবস্থা। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি’র টহলগাড়িগুলো শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে সাইরেন বাজিয়ে টহল দিচ্ছিল। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গত ৩ দিন যাবত শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশ ও র্যাবের তৎপরতায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা মাঠে নামতে পারেনি। গতকাল রায় ঘোষণার পর পর শহরের হাজরা তলা এলাকায় জামায়াত-শিবির-এর কর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ, র্যাব ও আর্মড পুলিশ অভিযান চালায়। পরে জামায়াত কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে শহরের টেপাখোলা, শহরতলীর কানাইপুর ও ধুলদীতে এ রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সারাদিন শহরের অবস্থা থমথমে ছিল। রায় ঘোষণার পর শহরে আওয়ামী লীগ ও গণজাগরণ মঞ্চ আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে ইসলামী ব্যাংককে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়।
এদিকে দুপুর একটার দিকে জেলা জামায়াতের আমীর শামসুল ইসলাম আল বরাটী, পৌর আমীর আলী আফজাল মোঃ খালেছ, সদর থানা আমীর মোঃ জসীম উদ্দিন ও জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াবকে জরুরি আলাপের কথা বলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানায় ডেকে নেন। বিকেল সাড়ে ছয় টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত তাদের কাউকেই ছাড়েনি পুলিশ। দুপুর থেকে এ পর্যন্ত তারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে অবস্থান করছিলেন।