আমি ওরকম নই : অ্যাসাঞ্জ
সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিক্স ও এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জীবন নিয়ে তৈরি ‘দ্য ফিফথ এস্টেট’ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার৷ এই ছবিতে যেভাবে চরিত্র বিকৃত করা হয়েছে তার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন অ্যাসাঞ্জ। ছবিতে তার চরিত্রটি অসভ্য, বদরাগি এবং অদক্ষ হিসেবে রূপায়িত হয়েছে।
গতমাসে টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়। প্রশংসিতও হয়। তবে অ্যাসাঞ্জ আগে থেকেই বুঝতে পারছিলেন যে তাকে ভালোভাবে উপাস্থান করা হবে না।
প্রদর্শনির পর তাই-ই দেখতে পেয়েছেন তিনি। অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, চরিত্রে যে ভাবে তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে বাস্তবে তিনি ওরকম নন। খবর ডয়েস ভেলে’র।
অ্যাসাঞ্জের এক সময়ের সহকর্মী জার্মানির ড্যানিয়েল ডমশাইট-বার্গ এর ২০১১ সালে লেখা ‘ইনসাইড উইকিলিক্স: মাই টাইম উইথ জুলিয়ান আসাঞ্জ অ্যাট দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ডেঞ্জারাস ওয়েবসাইট` বইয়ের কিছু অংশ ফিল্মে ব্যবহার করা হয়েছে৷ ছবিটিতে অ্যাসাঞ্জ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রিটিশ অভিনেতা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ৷
যারা শার্লক হোমসকে পছন্দ করেন তারা নিশ্চয় কাম্বারব্যাচকে চেনেন৷ কারণ তিনি বিবিসি/পিবিএস এর প্রযোজনায় নির্মিত টেলিভিশন ক্রাইম ড্রামা ‘শার্লক` সিরিজে শার্লক হোমসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন৷
‘দ্য ফিফথ অ্যাস্টেট` মুভিতে অ্যাসাঞ্জকে অভদ্র, রাগী ও অদক্ষ এক চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে৷
বিষয়টা বোধ হয় আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন অ্যাসাঞ্জ৷ তাইতো গত জানুয়ারিতে লেখা এক চিঠিতে ছবিটির সমালোচনা করেছিলেন তিনি৷ চিঠিটি লেখা হয়েছিল কাম্বারব্যাচকে৷ ব্রিটিশ এই অভিনেতা অ্যাসাঞ্জ চরিত্রটি ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করার প্রেক্ষিতে চিঠিটি লিখেছিলেন অ্যাসাঞ্জ৷
বৃহস্পতিবার উইকিলিক্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ঐ চিঠিটিতে অ্যাসাঞ্জ লিখেছিলেন, ‘‘আমি জানি ফিল্মটিতে আমাকে ও আমার কাজকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখানো হবে, যেটা সত্য নয়৷“ তাই আসাঞ্জ কাম্বারব্যাচকে ছবিটি না করারও অনুরোধ জানিয়েছিলেন৷
অ্যাসাঞ্জের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে কাম্বারব্যাচ অভিনয় না করার কথাও বিবেচনা করেছিলেন বলে গতমাসে স্বীকার করেছেন৷ তবে শেষ পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জ চরিত্রে অভিনয় করে টরোন্টো উৎসবের দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন কাম্বারব্যাচ৷ দেখা যাক, যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবার পর তিনি কেমন ফিডব্যাক পান৷