মধ্যপ্রাচ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ
প্রবৃত্তির দাসত্ব, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুত্বকে পরাভূত করার শিক্ষা নিয়ে আবারও এসেছে ঈদুল আজহা। শনিবার বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ত্যাগের মহিমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব।
একইসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতেও আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। শনিবার সকালে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব, কাতার, ওমান, আমিরাত (ইউএই), ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনা মহামারির বৈশ্বিক অভিঘাত সামলে এ বছর বিভিন্ন দেশে অনেকটাই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত হয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন মুসল্লিরা। উন্মুক্ত পরিবেশে হচ্ছে ঈদের জামাত।
মক্কার কাবা শরিফ, মদিনার মসজিদে নববিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদের ভেতরে প্রথম সারিতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন আমির ও শেখরা।
পবিত্র কাবা শরিফে ঈদের নামাজ পড়ান ও খুতবা দেন কোরআনের প্রসিদ্ধ কারি প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও সুমধুর কণ্ঠের অধিকারী শায়খ ড. আব্দুল্লাহ আওয়াদ আল-জুহানি। আর মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ান প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও প্রসিদ্ধ ইমাম শায়খ ড. আব্দুল বারি আল-থুবাইতি।
এদিকে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে পবিত্র আল আকসা মসজিদের সামনে সকালে জড়ো হন পশ্চিমতীরের মুসল্লিরা। আদায় করেন পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত। ওই জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে হাজারো ফিলিস্তিনিকে।
সৌদির বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা আমিরাতের জনগণ, আরব ও ইসলামিক দেশগুলোকে তাদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ঈদুল আজহা উপলক্ষে আরব ও ইসলামিক দেশের বাদশাহ, প্রেসিডেন্ট এবং আমিরদের অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
হিজরি বর্ষপঞ্জিতে শেষ মাস জিলহজের দশম দিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎসব ঈদুল আজহা। মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর মুসলিম উম্মাহর এই বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বাংলাদেশ উদযাপিত হবে আগামীকাল রবিবার।