প্রচন্ড চাপের মুখে এনএইচএস ইমার্জেন্সী সার্ভিস
এক জরীপে দেখা গেছে, সম্প্রতি ইংল্যান্ডে এনএইচএস ইমার্জেন্সী সার্ভিসের ওপর চাপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য রোগীদের দীর্ঘ অপেক্ষা, অনেক স্টাফের অসুস্থতা এবং এএন্ডই- তে লোকজনের রেকর্ড বৃদ্ধি এ অবস্থাকে নাজুক করে তুলেছে।
জুন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো দ্বিতীয় শ্রেনীর জরুরী অবস্থার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য রোগীদের গড়ে ৫১ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। মে মাসে সেটা ছিলো ৪০ মিনিট, তবে টার্গেট হচ্ছে ১৮।
মে মাসের তুলনায় জুনের এই পরিসংখ্যান বড়ো ধরনের দুর্ভোগ বৃদ্ধি। দেখা গেছে, জুনে ২৮ লাখ লোক এএন্ডই-তে আসে এবং ২২০৩৪ জনকে ১২ ঘন্টারও বেশী অপেক্ষা করতে হয়। এই মাসে ৯৯৯ নম্বরে রেকর্ড পরিমান কল করা হয় এবং প্রায় ৯ লাখ জবাব দেয়া হয়। রয়াল কলেজ অব নার্সি এ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।
‘সোসাইটি ফর একিউট মেডিসিন’ এর প্রেসিডেন্ট ডাঃ টিম কুকসলি বলেন, জরুরী সেবা লাভের জন্য বিপুল সংখ্যক রোগীর দীর্ঘ সময় অপেক্ষার বিষয়টি অগ্রহনযোগ্য এবং এটাকে একটি নতুন স্বাভাবিকতা বলে অবশ্যই গ্রহণ করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, জরুরী বিভাগগুলোতে রোগীরা অস্বাভাবিক দীর্ঘ সময় ধরে আটকা পড়ে আছেন। এর ফলে প্যারামেডিক্সরা আটকা পড়েছেন, তারা তাদের রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে বদলী করতে পারছেন না।
এনএইচএস ইংল্যান্ড- এর ন্যাশনাল মেডিকেল ডিবেক্টর অধ্যাপক স্যার স্টিফেন পাওয়িস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এনএইচএস অত্যন্ত চাপের মধ্যে আছে। কভিড রোগীর ভর্তি বৃদ্ধি, ভাইরাসের কারনে হাজারো স্টাফের অনুপস্থিতি, তাপদাহ এবং অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী সেবার রেকর্ড চাহিদার দরুন এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মে মাসের শেষ দিকে চিকিৎসা শুরুর জন্য ৬৬ লক্ষ লোক অপেক্ষা করছিলো, যা এপ্রিলে ছিলো ৬৫ লাখ। ২০০৭ সালে রেকর্ড শুরুর পর এটা রেকর্ড পরিমান সর্বোচ্চ। ইতোমধ্যে, মে মাসে ১৭ লাখ লোককে চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয় এবং এর ১৪ লাখই চিকিৎসা শুরু করেন।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এনএইচএস গত মে মাসে রেকর্ড সংখ্যক ডায়োগনস্টিক টেস্ট করেছে, যার সংখ্যা ২১ লাখ।