এনএইচএস অ্যাম্বুলেন্স সেবায় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
যুক্তরাজ্যের রয়াল কলেজ অব ইমারজেন্সি মেডিসিন এর প্রেসিডেন্ট হেন্ডার্সন বলেছেন, এনএইচএস জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। জরুরী প্রয়োজনে জনগণকে এম্বুলেন্স প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এনএইচএস তা তারা ভঙ্গ করেছে। তিনি এই প্রতিশ্রুতিকে মৌলিক প্রতিশ্রুতি বলে উল্লেখ করেন।
এনএইচএস এর জনৈক শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে হাসপাতাল সমূহের বাইরে অপেক্ষায় থেকে লক্ষ ঘন্টা নষ্ট করতে হচ্ছে। এভাবে এনএইচএস মৌলিক প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যর্থ হচ্ছে জনগণকে প্রয়োজন মুহূর্তে জীবন রক্ষাকারী জরুরি সেবা প্রদানে।
সম্প্রতি ওয়েস্ট মিডল্যান্স অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস (ডব্লিউএমএস)ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট এই মর্মে পূর্বাভাস প্রদান করে যে , জুলাই মাসে তারা ৪৮ হাজার এম্বুলেন্স আওয়ার হারাবে এই ডিপার্টমেন্টসমূহের বাইরে অপেক্ষমান থাকার কারণে। এভাবে এই মাসটি হবে বিপর্যয়ের নিকৃষ্টতম নজির। বৃহস্পতিবার ডব্লিউএমএস তার প্রতিবেদনে বলেছে, রোগী হস্তান্তরে বিলম্বের অর্থ হচ্ছে জরুরী রোগীদের আরো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে, যা জরুরী সাড়া দানের স্বাভাবিক সময়ের চেয়েবেশি।
এক্ষেত্রে ক্যাটাগরি ওয়ান এর রোগীদের বিলম্ব হবে চিকিৎসা পেতে অথচ ক্যাটাগরি ওয়ানের রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রধান অত্যন্ত জরুরী।
তারা আরো বলেন, এমন অবস্থায় জরুরি সেবা পেতে ব্যর্থ রোগীর মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি, এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ট্রাস্ট অনুসারে, তারা ২০২২-২৩ অর্থবছরে এমন ২৬৫টি ক্ষয়ক্ষতির ঘটনার ব্যাপারে রিপোর্ট করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ১৫২।
চলতি বছরের এপ্রিল ও জুনের মধ্যে ট্রাস্ট হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের বিলম্বে ৬৩১টি ঘটনা রেকর্ড করেছে। যেসব ক্ষেত্রে ২০ ঘন্টারও বেশি সময় বিলম্ব করেছে এম্বুলেন্স।
গত বৃহস্পতিবার ডব্লিউএমএস এএন্ডই ডিপার্টমেন্টের বাইরে দুই হাজার ঘন্টা হারায়। গত সপ্তাহে সার্ভিসটি একদিনে হারায় ২২০০ ঘন্টা।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সেবা চলতি মাসে ৪৮০০ ঘন্টা হারাবে। আর আগস্টের মাঝামাঝি এটা দাঁড়াতে পারে ৬০ হাজার ঘন্টা, যা মোট এম্বুলেন্স আওয়ারের ৩০ শতাংশ।