২০০৫ সালের পর থেকে এটা সর্বোচ্চ হার
যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ এক বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি
যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ গত জুনে অতিরিক্ত এক বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি পায়। ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার নির্বাহ এবং মজুরি হ্রাস পাওয়ায় গৃহস্থালিগুলোর এই বাড়তি ঋণের প্রয়োজন হয়। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে, ২০০৫ সাল থেকে ক্রেডিট কার্ড ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন ব্যাংক একাউন্ট গুলোতে জমাকৃত অর্থ মারাত্মকভাবে কমছে। ক্রেডিট কার্ডে ওভার ড্রাফট, ব্যক্তিগত ঋণ এবং কার ফাইন্যান্স সহ সামগ্রিক ভোক্তার ঋণ বার্ষিক ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ১.৮ বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি পায়, যা ২০১৯ সালের মে থেকে দ্রুততম হার। ক্রেডিট কার্ড ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১২.৫ শতাংশ। ২০০৫ সালের নভেম্বরের ১২.৬ শতাংশে বৃদ্ধির পর থেকে এটা সর্বোচ্চ হার।
ক্রেডিট ইনফর্মেশন কোম্পানি ইকুইফ্যাক্স এর এনালাইটিক্স অফিসার পল হেড বলেন, উচ্চ আয়ের গৃহস্থালিগুলোর সঞ্চয় ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে, যখন স্বল্প আয়ের গৃহস্থালিগুলোকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্রেডিট ইন্ডাস্ট্রির দিকে ছুটতে হচ্ছে।
ঋণের আবেদনগুলো এখন মহামারী পূর্ব পর্যায়ে ফিরে গেছে এবং জীবনযাত্রায় ব্যয় সংকট বৃদ্ধির ফলে এই চাহিদা অব্যাহত। কেপিএমজি এর ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের প্রধান করিম হাজী বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধান ব্যাংকগুলো এ সপ্তাহে ক্রেডিট মানে বড় ধরনের কোন অবনতির খবর পায়নি। তবে সবচেয়ে অরক্ষিত গ্রাহকদের সহায়তা প্রদানের প্রয়োজন অনুভব করছে, যা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠবে।
ইতিমধ্যে সুপার মার্কেটের মত দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় লোকজন তাদের ব্যয় হ্রাস করতে শুরু করেছে।
জুন মাসে বন্ধকী ঋণ গ্রহণ হ্রাস পায়। এর সঙ্গে বাড়িঘরের ক্রেতাদের অনুমোদনের সংখ্যা ৬৩৭০০ থেকে দুই হাজারে নেমে আসে। এটা মহামারী পূর্ব বারো মাসের গড়পরতার চেয়ে কম। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৬৬৭০০।
এই পরিসংখ্যান এটাই ইঙ্গিত প্রদান করে যে, কঠিন সময় আসন্ন। জীবনযাত্রায় সংকট লোকজনের সঞ্চয়কে আবর্জনায় নিক্ষেপ করেছে। তাই দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে তাদেরকে ঋণের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।