রোগীদের অপেক্ষা বিপর্যয়কর
এএন্ডই বিভাগে প্রতি মাসে হাজারো রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে
যুক্তরাজ্যে এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী (এএন্ডই) বিভাগে অপেক্ষা এখন বিপর্যয়কর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বলা হচ্ছে, রোগীদের অপেক্ষা এখন এতোই খারাপ যে, কল্পনারও বাইরে। এনএইচএস- এর ফাঁস হওয়া একটি ডাটা থেকে এমন শোচনীয় অবস্থার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে প্রতি মাসে হাজারো রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।
ফাঁস হওয়া এনএইচএস-এর ডাটা বা উপাত্তে দেখা যায়, ২০২২ সালের প্রথম ৭ মাসে এএন্ডই-তে প্রায় ৭ লাখ লোক ১২ ঘন্টারও বেশী অপেক্ষমান ছিলেন। লুক্কায়িত মাসিক ট্রলি অপেক্ষা, যা জাতীয় ডাটায় প্রকাশিত হয়নি, তা ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর দ্বিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রয়াল কলেজ অব ইমার্জেন্সী মেডিসিন- এর প্রেসিডেন্ট ডাঃ ক্যাথরিন হেন্ডারসন সতর্ক করে বলেছেন, ডাটাতে প্রদর্শিত ট্রলি ওয়েটসমূহ কল্পনার চেয়েও বেশী খারাপ। প্রতিশ্রুতি সত্বেও এ বিষয়ে প্রকৃত পরিসংখ্যান প্রকাশ না করার বিষয়টি কেলেংকারীপূর্ন।
ডাঃ হেন্ডারসন সতর্ক করে আরো বলেন, এএন্ডই-তে অপেক্ষার বিষয়টি দশকব্যাপী তহবিল বা অর্থ প্রদান না করা এবং স্টাফিং ও সোশ্যাল কেয়ারের বিষয়ে সতর্কবাণী আমলে না নেয়ার ফল। নটিংহ্যামশায়ারে স্টাফদের প্রদত্ত এক বার্তায় হাসপাতালের নেতৃবৃন্দ বলেন, গত সপ্তাহে রোগীরা এএন্ডই-তে শয্যা পাবার জন্য ৪০ ঘন্টার বেশী অপেক্ষা করেন। হাসপাতালের কোন কোন এলাকায় স্টাফিং অনুপাত ১ঃ১৪ অর্থ্যাৎ প্রতি ১৪ রোগীর জন্য মাত্র ১ জন স্টাফ। ফলে সেবাহীন অবস্থায় বাড়িতে পড়ে থাকতে হয়েছে রোগীদের।
বলা হয়, এনএইচএস এএন্ডই-তে রোগী আসার মুহূর্ত থেকে ১২ ঘন্টা অপেক্ষার বিষয়ে ডাটা সংগ্রহ করে আসছে। কর্তৃপক্ষের এই ডাটা বা পরিসংখ্যান এনএইচএস কর্তৃক প্রতি মাসে প্রকাশিত ডাটার চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশী। কারন এনএইচএস ডাটা সংগ্রহ করে শুধুমাত্র একজন রোগী ভর্তির সিদ্ধান্ত হওয়ার সময় থেকে।
সংবাদপত্র কর্তৃক গৃহীত ডাটায় দেখা যায়, ২০২২ সালে ১২ ঘন্টা অপেক্ষাকারী রোগীর সংখ্যা ১৪৪ শতাংশ বেড়েছে ২০১৯ সালের তুলনায়। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩৭ হাজার এবং ২০২১ সালে ৫১ হাজার। কিন্তু ২০২২ সালে তা উন্নীত হয়েছে এক লাখে।