করদাতাদের ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড গচ্চা
কভিড ঋনগ্রহীতা ১৬ হাজার কোম্পানী বন্ধ হয়ে গেছে
যুক্তরাজ্যে ১৬ হাজারেরও বেশী সরকার গ্যারান্টিকৃত কভিড ঋন গ্রহীতা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ঋনের অর্থ ফেরত না দিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। ঋন পাবার অধিকারী নন এমন শত পরিচালক ঋন খেলাপী হয়ে পড়েছেন। এতে করদাতাদের ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড গচ্চা যাবে যার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কীভাবে এই অর্থ পুনরুদ্ধার হবে।
সিরিয়াস ফ্রড অফিস এর জনৈক সাবেক প্রধান এক্ষেত্রে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানকে দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। স্যার ডেভিড গ্রীন কিউসি বাউন্স ব্যাক লোনের আবেদন পত্র পরীক্ষায় ব্যাংকসমূহের করনীয় দেখভালে সরকারের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি হতাশাব্যঞ্জকভাবে অপর্যাপ্ত বলে উল্লেখ করেন। মোট ১৫ লাখ ঋনের আওতায় ৪৭ বিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করা হয়। মহামারির ধকল কাটিয়ে ওঠতে যুক্তরাজ্য সরকার যে সব পদক্ষেপ নেয় এর একটি হচ্ছে বাউন্স ব্যাক লোন, যা ১০ বছরের মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু অর্থনীতি বাঁচাতে ব্যস্ত থাকায়, ঋনগ্রহীতাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় সীমিতভাবে।
এই স্কীমের অধীনে ক্ষুদ্র কোম্পানীগুলো তাদের আয়ের ভিত্তিতে ৫০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত ঋনের আবেদন করতে সক্ষম ছিলো। আবেদনকারীদের অর্থের অংক স্বনির্ধারনের অনুমতি দেয়া হয়।
ফ্রড এডভাইজারি প্যানেলের বর্তমান চেয়ারম্যান স্যার ডেভিড আরো বলেন, ঝুঁকি মূল্যায়ন না করে যুদ্ধক্ষেত্রে একটি সৈন্যদল পাঠানো যায় না এবং ঠিক একই ধরনের পরিস্থিতিতে দৃশ্যমান ঝুঁকি মূল্যায়ন ও মোকাবেলা করা উচিত ছিলো। তিনি বলেন, যতদূর সম্ভব বাউন্স ব্যাক লোনের অর্থ অবশ্যই পুনরুদ্ধার করা উচিত।
অপরদিকে সরকার বলেছে, করদাতাদের অর্থ নিয়ে প্রতারনা সহ্য করা হবে না। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, লাখ লাখ পাউন্ড নিয়ে বর্তমানে ইনসলভেন্ট অর্থ্যাৎ অস্বচ্ছল হয়ে পড়া কোম্পানীগুলোর নিকট থেকে অর্থ উদ্ধারের কী হবে।
ঐসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই বৈধ কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে দেখা যাচ্ছে, বাউন্স ব্যাক লোনের একটি অংশের অপব্যবহার হয়েছে। বিবিসি’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শত কোম্পানী পরচালক ব্যবসা পরিচালনায় অযোগ্য হয়ে পড়েছেন এবং ঐসব কোম্পানী ঋন পাবার মতো প্রথম অবস্থানে ছিলো না।