টিইউসি’র সতর্কবাণী
যুক্তরাজ্যে প্রকৃত মজুরীর সর্বোচ্চ পতন আসন্ন
জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় ৭.৭৫ শতাংশ হ্রাস পাবে
টিইউসি এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছে যে, গত এক শতাব্দির মধ্যে জনগনের প্রকৃত মজুরীর সবচেয়ে বড়ো পতন আসন্ন। এ বছরের শেষ দিকে মজুরী বৃদ্ধি ৮ শতাংশ মূলস্ফীতির পেছনে পড়ে যাবে। সাম্প্রতিক টিউইসি’র এক সমীক্ষায় এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
টিইউসি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে বলেছে যে, চলতি বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে অর্থ্যাৎ শেষ ৩ মাসে মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশে উন্নীত হবে, যখন মজুরী মাত্র ৫.২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা। এর অর্থ হচ্ছে জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় ৭.৭৫ শতাংশ হ্রাস পাবে।
ব্যাংকটির সর্বশেষ পূর্বাভাসগুলো ব্যবহার করে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানের ওপর মূল্যস্ফীতির প্রভাব বিবেচনায় এই পরিসংখ্যানের হিসাব করা হয়েছে। টিইউসি আরো বলেছে যে, শ্রমিকরা বিংশ শতাব্দির কুড়ির দশকের পর আর কখনো মজুরীর ক্ষেত্রে এধরনের প্রলম্বিত ও মারাত্মক পতনের সম্মুখীন হয়নি।
হাজার দশেক শ্রমিক এই বলে সংকেত প্রদান করেছে যে, তারা শিল্প সংক্রান্ত ধারাবাহিক ভোট গ্রহনের পর ধর্মঘটের জন্য প্রস্তুত। ১ লাখ ১৫ হাজার পোস্টাল ওয়ার্কার্স এ মাসের শেষ দিকে ধারাবাহিক ধর্মঘট করতে যাচ্ছে। তাদের ৫.৫ শতাংশ মজুরী বৃদ্ধির দাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর এই ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিয়েছে। শীঘ্রই তাদের সাথে যোগ দিচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার নার্স। জুনে রিটেইল প্রাইস ইনডেক্স বর্ণিত মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বে ৫ শতাংশ মজুরী দাবির সমর্থনে ধর্মঘটের পক্ষে তাদের সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছে রয়াল কলেজ নার্সিং। মন্ত্রীবর্গ সিনিয়র নার্সদের ৪ শতাংশসহ নার্সদের মজুরী ৩ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। কিন্তু রয়াল কলেজ নাসিং বলেছে, এটা প্রকৃতপক্ষে একজন অভিজ্ঞ নার্সকে ১ হাজার পউন্ডেরও বেশী পতনে নিপতিত করেছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এই শীতে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত তার পূর্বাভাস ১৩ শতাংশ বলে আগেরটি সংশোধন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গড় গৃহস্থালীর প্রাইসক্যাপ অক্টোবরে ৩ হাজার ৬০০ পাউন্ড এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে ৪ হাজার ২০০ পাউন্ডে উন্নীত হতে পারে। আর আগামী বছর গড় বিল ৫ হাজার পাউন্ডে বৃদ্ধি পেতে পারে।