যুক্তরাজ্যে মন্দা: বরিস জনসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ
যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার গত ৪০ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমান ১০.১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) বলেছে, দ্রব্যমূল্য মূলত: বেড়েছে খাদ্যপন্য এবং টয়লেট রোল ও টুথব্রাশসহ প্রধান খাদ্যশস্যের ওপর। এটা ১৯৮২ সালের পর থেকে দ্রব্যমূল্যে সবচেয়ে বড়ো উল্লম্ফন। ১৯৮২ সালে কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স ১০.৪ শতাংশে পৌঁছেছিলো। এছাড়া এই মূল্যবৃদ্ধি জুনে ৯.৪ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পর থেকে ধরনের জাম্প বা উল্লম্ফন।
রক্ষনশীল নেতৃত্ব প্রত্যাশী লিজ ট্রাস এবং ঋষি সুনাক জীবনযাত্রার সংকট মোকাবেলায় জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বানের সম্মুখীন। এমনকি ২০ নং ডাউনিং স্ট্রিট বরিস জনসন এবং নেতৃত্ব প্রত্যাশী তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তরসূরীর মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি ওড়িয়ে দেননি।
মিঃ সুনাক তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসকে তার জীবনযাত্রার ব্যয় সংক্রান্ত পরিকল্পনার বিষয়ে স্বচ্ছ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে মিসেস ট্রাস গৃহস্থালীসমূহের জন্য তার কর কর্তনের পরিকল্পনার ওপর পুনরায় গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এছাড়া তিনি ‘স্টিকিং প্লাস্টার’ পদক্ষেসমূহের বিষয়টি প্রত্যাখান করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ের মূল্যস্ফীতির হার ৯.৮ শতাংশের চেয়ে বেশী হবে এমন ধারনা অধিকাংশ অর্থনীতিবিদদের। তাদের মতে, জনগনের ব্যয় আরেক দফা সংকুচিত হতে চলেছে। চলতি বছরের শেষ দিকে মূল্যস্ফীতি ১৩.৩ শতাংশে পৌঁছতে পারে এবং এটা যুক্তরাজ্যকে একটি মন্দার দিকে ঠেলে দেবে, এমন শংকা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের।
ওএনএস- এর প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্রান্ট ফিটজনার বলেন, খাদ্যপন্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে বিগত দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.১ শতাংশে উন্নীত করেছে।
মিঃ ফিটজনার আরো বলেন, একটি ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি চলতি মাসে মূল্যস্ফীতিকে আবার বাড়িয়ে দেবে। উচ্চতর চাহিদার দ্বারা তাড়িত হয়ে প্যাকেজ হলিডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর একই সময়ে এটা পড়ে গিয়েছিলো, যখন বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, কাঁচামাল ও পন্য সামগ্রীর উভয়ের মূল্যবৃদ্ধি কলকারখানাসমূহকে উৎপাদিত পন্যের অব্যাহতভাবে মূল্যবৃদ্ধি করতে বাধ্য করছে। এক্ষেত্রে ধাতব পদার্থ ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি তাদের এটা করতে বাধ্য করছে।
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে চ্যান্সেলর নাদিম জাহাওয়ী বলেন, আমি বুঝতে পারছি এখন কঠিন সময়, তবে বিশ্বের সব দেশকেই এ অবস্থায় পড়তে হয়েছে।