ব্যাপক হারে জ্বালানী ব্যয় বৃদ্ধি
হাইস্ট্রিটের লাখো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার শংকায়
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন যে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানী বিলের দরুন হাইস্ট্রিটের ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও বিপনীগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চলতি শীতে ব্যাপক হারে জ্বালানী ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে কিংবা ব্যবসার আকার ছোট করতে হতে পারে।
প্রতি ৭ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১টি এখন শংকিত যে, তাদেরকে বাধ্য হয়ে ব্যবসা বন্ধ কিংবা ব্যবসার আকার ছোট করতে হতে পারে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্রিটেনের ঘনিয়ে আসা মন্দাকে আরো ঘনীভূতি করতে পারে অসচ্ছলতা ও দেউলিয়াত্বের একটি ঢেউ। ক্রেতারা ব্যয় কমিয়ে ফেলায় আগামী বছর প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাইস্ট্রিটের প্রতি ৩টির মধ্যে মাত্র একটি খুচরো ও আতিথেয়তা প্রতিষ্ঠান আগামী বছর প্রবৃৃদ্ধি প্রত্যাশা করে।
ফেডারেশন অব স্মল বিজনেস (এফএসবি) এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, কোম্পানীগুলোর ওপর আসন্ন ব্যাপক ব্যয় বৃদ্ধির খড়্গ অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতি বাস্তব হুঁমকি সৃষ্টি করেছে। তারা শরৎ ও শীতকালকে একটি মলিন ও ধূসর ঋতু হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন।
মহামারির ধকল কাটিয়ে ওঠতে হিমশিম খাওয়া হাইস্ট্রিট ফার্মগুলো এখন দ্বৈত চাপের মধ্যে। কারন ভোক্তারা আয় হ্রাস পাওয়ায় খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে ‘সিনেওয়ার্ল্ড’ জটিলতায় পড়া সর্বশেষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেউলিয়া হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা এই বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, প্রকৃত গড় মজুরী ৮ শতাংশ হ্রাস পাবে। চলতি বছরে এটা হবে বড়ো পতন। মূল্যস্ফীতি মজুরী বৃদ্ধিকে অনেক ছাড়িয়ে যাবে। ক্যাপিটাল ইকোনমিস্ট- এর সিনিয়র ইউকে ইকোনমিস্ট রুথ গ্রেগরি বলেন যে, তিনি মনে করেন আগামী বছর নভেম্বর পর্যন্ত মজুরী সংকুচিত হওয়া অব্যাহত থাকবে, যা গৃহস্থালীসমূহকে অনেক বেকায়দায় ফেলবে।
মিসেস গ্রেগরি আরো বলেন, অতীতে কখনো এক বছরের মধ্যে গৃহস্থালীর আয় ২ শতাংশ হ্রাসের ঘটনা ঘটেনি। এটা নিশ্চিতভাবেই ভোক্তাদের ব্যয় হ্রাস করবে। এফএসবি’র পরিচালক মার্টিন ম্যাকট্যাগ বলেন, অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাহিদা হ্রাস ও বিপুল ব্যয় বৃদ্ধি উভয়টির সাথে পাল্লা দিতে যে পারবে না এটা নিশ্চিত।