যুক্তরাজ্যে পঞ্চাশোর্ধ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে
যুক্তরাজ্যে ৫০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় লোকের সংখ্যা ৩৬ লাখে পৌঁছেছে। এটা মহামারিপূর্ব সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশী। এটা কর্মক্ষেত্র থেকে মহামারি পরবর্তী ‘সিলভার এক্সোডাসে’র একটি শক্তিশালী প্রমান। পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মাসে পঞ্চাশোর্ধ ৩ লাখ ৭৫ হাজার লোক বেকারত্ব ভাতা পেয়েছেন। যখন এই বিপুল সংখ্যক লোক রাষ্ট্রীয় সহায়তা গ্রহন করছেন, তখন কর্ম অনুসন্ধানকারী লোকের সংখ্যা মহামারিপূর্ব সময়ের চেয়ে ৬৫ হাজার বেড়েছে। এ সময়ে চাকুরীতে পদশূন্যতা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখেরও বেশী।
গত ৫ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে বেকার ভাতা গ্রহীতার সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার বেড়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে। কর্ম ও পেনশন বিষয়ক ছায়া মন্ত্রী জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেন, সর্বশেষ পরিসংখ্যান এটাই প্রমান করে যে, চাকুরী অনুসন্ধানকারী লোকজনের জন্য সরকারী সাহায্যের ক্ষেত্রে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। আমরা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে আছি। নিযোগকারীরা পদশূন্যতা পূরনে হিমশিম খাচ্ছেন, কিন্তু মন্ত্রীরা এ বিষয়ে নির্বিকার। মহামারির সময় থেকে লোকবল হ্রাস পাচ্ছে দেখেও তারা উদাসীন।
তিনি আরো বলেন, যদি লেবার পার্টি সরকার গঠন করে, তবে তারা বিশেষ সহায়তা প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেবেন, যার মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ এবং দীর্ঘকাল যাবৎ অসুস্থ লোকজনের বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকবে, যারা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে আগ্রহী। তারা বেকারত্বের মূল কারন স্বাস্থ্যগত দুর্বলতার দিকে নজর দেবেন। একই সঙ্গে কর্মস্থলে নমনীয়তার অভাব, অপর্যাপ্ততা এবং চাকুরীক্ষেত্রে স্বল্প সহায়তার বিষয়টিও দেখবেন। অ্যাশওয়ার্থ এর টিম কর্তৃক পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৭ টি সংসদীয় এলাকায় পঞ্চাশোর্ধ চাকুরী অনুসন্ধানকারীর সংখ্যা মহামারি পূর্ব সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার্ক এন্ড পেনশন বলেছে, মহামারির সময় তারা ৫০ ও তদুর্ধ বয়সী ৫ লাখেরও বেশী চাকুরী সন্ধানকারী লোকজনকে সহায়তা প্রদান করেছে এবং বর্তমানে মহামারির সময়ের চেয়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার কম লোক বেকারত্ব ভাতা গ্রহন করছেন।
ডিপার্টমেন্ট আরো জানায়, তারা পঞ্চাশোর্ধদের মধ্যে বেকারত্ব হ্রাসে অতিরিক্ত ২২ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করছে। গত মাসে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১ লাখ ৯০ হাজার লোক কোম্পানী পে-রোলে যোগ দিয়েছেন।