ব্রিটেনে শ্রমিকদের এখন বেঁচে থাকা অসম্ভব
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স বলেছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পলিসি যেমনটি মনে করে তেমন ভালো অবস্থানে নেই দেশটির গড়পড়তা শ্রমিকেরা। কর প্রদানের পর প্রতিটি গৃহস্থালীর গড় আয় ৩১ হাজার ৩৮৩ পাউন্ড। অপরদিকে রেভিনিউ এন্ড কাস্টমস্ বিভাগের মতে, ২০১৯-২০ সালে কর প্রদানপূর্বক গড় আয় ছিলো ২৬০০০ পাউন্ড এবং কর পরবর্তী আয় ছিলো ২৩৫০০ পাউন্ড। তবে এক্ষেত্রে জাতীয় বীমার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি, যার দরুন এই অংক থেকে ২ হাজার পাউন্ড হ্রাস পাবে এবং প্রায় বাধ্যতামূলক পেনশন কনট্রিবিউশন যাতে কর্তন হবে কর পরবর্তী আরো ৮ পাউন্ড। এতে প্রকৃত ব্যয়ের অংক দাঁড়াবে ২০৭০০ পাউন্ড। এর মানে হচ্ছে গড়পড়তা গৃহস্থালীতে ২ জন পূর্নবয়স্ক ব্যক্তির কাজ করা আবশ্যক।
এতে আরো বলা হয়েছে যে, যুক্তরাজ্যে গড় আয় লাভের অর্থ হচ্ছে ঘন্টায় ১৫ পাউন্ডের কম উপার্জন। এ অবস্থায় প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, একটি গৃহস্থালীর পক্ষে এই আয়ে ভালোভাবে জীবযাপন কি সম্ভব? এ অবস্থায় কোন গৃহস্থালীর পক্ষে মর্গেজ চালিয়ে যাওয়া ও ভাড়া প্রদান মুশকিল হবে। কারন যুক্তরাজ্যে গত ঘর ভাড়া বর্তমানে মাসিক ১১০০ পাউন্ড কিংবা বছরে ১৩০০০ পাউন্ডের চেয়ে বেশী।
কাউন্সিল ট্যাক্স গড়ে প্রায় ২ হাজার পাউন্ড, পানির বিল গড়ে প্রায় ৪০০ পাউন্ড। পরিবারের ফোনের খরচ বছরে ১ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে এবং ব্রডব্যান্ড এক্ষেত্রে বছরে ৩০০ পাউন্ড ব্যয় যোগ করতে পারে। আর জ্বালানী ব্যয় বর্তমানে বার্ষিক ২০০০ পাউন্ড, যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা।
এছাড়া কারের ব্যয় কমপক্ষে বার্ষিক ৩০০০ পাউন্ড এবং এর চেয়ে বেশীও হতে পারে। এছাড়া পরিবারের জন্য সপ্তাহে খাবারের জন্য লাগবে ১০০ পাউন্ড। বছরে শপিং বিল হতে পারে ৫ হাজার পাউন্ডের মতো। সব মিলিয়ে বছরে ২৬ হাজার পাউন্ডের বেশী ব্যয় হবে। এগুলোর মধ্যে একটি বাড়ির রক্ষনাবেক্ষন, উৎসব অনুষ্ঠান সহ পোশাক আশাকের ব্যয় রয়েছে। এভাবে শেষ পর্যন্ত একটি গৃহস্থালীর হাতে কিছুই সঞ্চিত থাকবে না। এর ওপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধিতে আরো বার্ষিক ২ হাজার পাউন্ড যুক্ত হবে।