রোহিঙ্গা ইস্যু
মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সমর্থনে নতুন করে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানের পঞ্চম বার্ষিকীতে যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল। বৃহস্পতিবার ঢাকার যুক্তরাজ্য হাই-কমিশন এ তথ্য জানায়।
এতে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমারে সামরিক সম্পৃক্ত ব্যবসাগুলো লক্ষ্য করে আরো একটি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো হলো- স্টার স্যাফায়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েজ গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেড (আইজিজি) এবং স্কাই ওয়ান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ও রাজস্ব আয় সীমিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা ছিল জাতিগত নিধন। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বর্বরতা বন্ধ করতে এবং তাদের জবাবদিহির পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, যারা আমাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন ও ধ্বংস করতে চায়, যুক্তরাজ্য সবসময় তাদের মোকাবিলা করবে। পাঁচ বছর ধরে আমরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে জাতিগত নিধনের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিন্দা জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন রোহিঙ্গারা। এরপর গত ৫ বছরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
It is 5 years since the horrific events that forced almost a million Rohingya people to flee their homes in Myanmar to seek refuge in Bangladesh. The donor community stands in solidarity with Rohingya refugees and the people and Government of Bangladesh.https://t.co/a7zqX8jEc1 pic.twitter.com/MCHCyeXtHp
— UK in Bangladesh 🇬🇧🇧🇩 (@UKinBangladesh) August 25, 2022