জ্বালানী মূল্য ক্যাপ আগামী বছর ৭০০০পাউন্ডে উন্নীত হবে

শক্তি নিয়ন্ত্রক বলেছে যে, গড় পরিবারের জন্য মূল্য ক্যাপ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া তিন মাসের জন্য ৮০ শতাংশ বেড়ে ৩৫৪৯ পাউন্ড হবে। কিন্তু এনার্জি কনসালটেন্সি অক্সিলিওনের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ক্যাপটি পরের বছরের এপ্রিলের মধ্যে রেকর্ড উচ্চ থেকে দ্বিগুণ হতে পারে, যা ৭৩৬৩ পাউন্ড ছুঁয়ে যেতে পারে।
ভবিষ্যদ্বাণীটি বিশ্ববাজারে জ্বালানী কেনার বর্তমান খরচের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এবং জানুয়ারিতে বিলগুলি ৫৪০৫ পাউন্ড হিট করে। কর্নওয়াল ইনসাইটের সহকর্মী পরামর্শদাতারা একটু বেশি আশাবাদী। তাদের মডেল আশা করছে জানুয়ারিতে ক্যাপ মাত্র৫৩৮৭ পাউন্ড এবং তারপর এপ্রিল থেকে ৬৬২৬ পাউন্ডে পৌঁছাবে।
অফগেমের সর্বশেষ ঘোষণাটি সারা দেশে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা জাগিয়েছে, কারণ মার্টিন লুইস সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে অক্টোবরে জ্বালানীর দামের ক্যাপ অক্টোবরে ৮০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় এই শীতে মানুষ মারা যাবে।সম্প্রতি জ্বালানীর বিলগুলিতে বড় লাফের ঘোষণা করার পরে, তিনি টুইট করেছেন: “আমাকে জ্বালানী বৃদ্ধির বিষয়ে বিপর্যয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে যা এখন সত্য হয়েছেন। এনার্জি সেভিংস-এর প্রতিষ্ঠাতা দীর্ঘকাল ধরে ব্রিটিশ জনসাধারণ এবং রাজনীতিবিদদেরকে আসন্ন আর্থিক সর্বনাশ সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন, একটি বেপরোয়া, একাকী যুক্তির মতো। এবং তবুও, ডাকে সাড়া না দিয়ে, আমাদের অযোগ্য সরকার হেডলাইটের হরিণের মতো; পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং কোন সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে অক্ষম।
ব্রিটিশ সরকার এই বছরের শুরুর দিকে ঘোষণা করেছিল যে, পরিবারগুলি এই শীতে তাদের জ্বালানীর বিল ৪০০পাউন্ড বন্ধ করে দেবে যা জীবনযাত্রার সঙ্কট কামড়ের খরচ হিসাবে ক্রমবর্ধমান বিলগুলি মোকাবেলার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে।
নীতিটি ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন চ্যান্সেলর হয়ে টোরি নেতৃত্বের প্রার্থী ঋষি সুনাক এবং অন্যান্য ব্যবস্থা সহ প্রায় ৮ মিলিয়ন পরিবারের জন্য অর্থ-পরীক্ষিত সুবিধার জন্য 650 পাউন্ড এককালীন অর্থ প্রদান সহ। ৮ মিলিয়নেরও বেশি পেনশনভোগী পরিবারকে তাদের শীতকালীন জ্বালানি প্রদানের পাশাপাশি ৩০০পাউন্ড এককালীন অর্থ প্রদান এবং ইউকে জুড়ে প্রায় ৬মিলিয়ন লোকের জন্য ১৫৯পাউন্ডের এককালীন অর্থপ্রদান, যারা নির্দিষ্ট অক্ষমতা সুবিধা পান।
মিঃ সুনাক আরও হ্যান্ডআউটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যদি তাকে নেতা হিসাবে বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয় তবে সামনের দৌড়বিদ লিজ ট্রাসের অন্য ধারণা থাকতে পারে, যদিও বর্তমান চ্যান্সেলর, নাদিম জাহাউই, ট্রেজারি কর্মকর্তাদের বলেছেন যে, অফগেমের শক্তি এখন আরও চেক জারি করার জন্য প্রস্তুত হতে। প্রাইস ক্যাপ অক্টোবরে এবং আবার জানুয়ারিতে উভয় ক্ষেত্রেই বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ৩৬০০ এবং তারপরে ৪২০০পাউন্ড।বরিস জনসন বলেছেন যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে জ্বালানী বিলের জন্য আরও নগদ অর্থ প্রদান করতে হবে।
তিনি বলেছেন, তার উত্তরসূরিকে টরি নেতৃত্বের প্রিয় লিজ ট্রাসকে একটি আপাত বার্তায় ব্রিটিশদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানীর বিলগুলি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য আরও সরাসরি নগদ অর্থ প্রদান করতে হবে।
পররাষ্ট্র সচিব, টোরি প্রতিযোগিতায় ঋষি সুনাককে পরাজিত করার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী এখনও কোনও অতিরিক্ত আর্থিক অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেননি – যখন বার্ষিক গ্যাস এবং বিদ্যুতের বিল ব্যাপক বৃদ্ধি পেতে চলেছে৷
জনসন আরও নগদ সহায়তা অনিবার্য বলে পরামর্শ দিয়ে অতিরিক্ত সরাসরি অর্থপ্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য ট্রাসকে চাপ দিয়েছিলেন, কারণ তিনি অফগেমের শক্তির মূল্য ক্যাপ ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, রাজনীতির লেখক অ্যাডাম ফরেস্ট রিপোর্ট করেছেন।জীবনযাত্রার সংকট ‘মানুষকে হতাশার দিকে ঠেলে দেবে’।
শ্রমের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের সহকারী পুলিশ এবং অপরাধ কমিশনার টম ম্যাকনিলের “গুরুতর আশঙ্কা” রয়েছে যে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের কারণে অপরাধ “স্পাইক” হবে, জরুরি বাজেট ব্যবস্থার অভাবের জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন৷
মিঃ ম্যাকনিল বলেছেন: “আজকের খবর যে সাধারণ পরিবারের শক্তি বিল ৩৫০০ পাউন্ডের বেশী হতে পারে তা এই অঞ্চল জুড়ে পরিবারের জন্য বিধ্বংসী।
“এটি মোকাবেলায় ব্যবস্থা আনার জন্য কোনও জরুরি বাজেট আহ্বান করা হয়নি তা আমাকে অপরাধ বৃদ্ধির গুরুতর ভয়ে ফেলে দিয়েছে।
“আমি আমার উদ্বেগের পুনরাবৃত্তি করেছি যে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট মানুষকে হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
“যদিও অপরাধের জন্য একেবারেই কোনো অজুহাত নেই, আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে যে দারিদ্র্য এবং হতাশার অর্থ আরও বেশি তরুণরা মাদক ব্যবসা এবং অন্যান্য অপরাধে শোষিত হবে।”জ্বালানি সংকট আরও খারাপ হতে পারে – আমাদের নেতাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
“এটি এখন অনস্বীকার্য যে যুক্তরাজ্য একটি তীব্র এবং গভীরতর জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে। সরকারের দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক হস্তক্ষেপ ছাড়াই জাতি নিঃসন্দেহে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়, “ব্যবসায়িক রিপোর্টার বেন চ্যাপম্যান লিখেছেন।