মন্দা আসন্ন
যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ২২ শতাংশ হতে পারে আগামী বছর
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাচস্ সতর্কবানী উচ্চারন করেছে যে, আগামী বছর যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ২২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে, যদি ক্রমবর্ধমান গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা না হয়। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ জ্বালানী রেগুলেটর অফগেম নিশ্চিত করেছে যে, অক্টোবরে প্রাইসক্যাপ অর্থ্যাৎ মূল্যসীমা সাড়ে ৩ হাজার পাউন্ডেরও বেশী হতে পারে।
অপরদিকে চ্যারিটিসমূহ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যদি সরকার জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন না করে তবে লাখ লাখ গৃহস্থালী জ্বালানী দারিদ্রে নিপতিত হবে।
গোল্ডম্যান স্যাচস্ -এর অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, এ অবস্থায় জানুয়ারী মাসে আমরা গ্যাসের প্রাইস ক্যাপ ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির আশংকা করছি। এছাড়া গোল্ডম্যান স্যাচস্ চতুর্থ প্রান্তিক অর্থ্যাৎ ত্রৈমাসিকে একটি মন্দা শুরুর শংকা ব্যক্ত করেছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগামী মাসে ২.২৫ শতাংশ সুদ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে। ‘সিটি’ নামক সংস্থার অর্থনীতিবিদরা গত সপ্তাহে এক পূর্বাভাসে বলেন, জানুয়ারী মাসে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ১৮.৬ শতাংশ হতে পারে। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ গ্যাস ঘোষনা করে যে, জ্বালানী ব্যয় বৃদ্ধির ফলে দুর্ভোগ পোহানো গৃহস্থালীগুলোর সহায়তায় তারা তাদের মুনাফার ১০ শতাংশ দান করবে। জ্বালানী সংকট যতোদিন থাকবে, ততোদিন তারা এই অর্থ প্রদান করবে।
ব্রিটিশ গ্যাস- এর মূল কোম্পানী সেন্ট্রিকা রাজনীবিদদের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহকে করোনা মহামারিকালীন সময়ের ন্যায় গ্রান্ট বা মঞ্জুরী প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। রক্ষনশীল দলের নেতৃত্ব প্রত্যাশী ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি বেনিফিট সিস্টেমের মাধ্যমে সবচেয়ে অরক্ষিত লোকজনের সহায়তায় প্রায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করবেন। অপরদিকে অপর নেতৃত্ব প্রত্যাশী লিজ ট্রাস ৩০ বিলিয়ন পাউন্ড কর কর্তনের পদক্ষেপ গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।