লন্ডন মেয়রের ‘কভিড স্টাইলে’ সহায়তার আহ্বান
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে দারিদ্রের মুখোমুখি পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য কভিড স্টাইলের সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন বরিস জনসনের উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। লেবার পার্টির মেয়র বলেন, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাস বা ঋষি সুনাক যে-ই জয়ী হোন না কেনো, তাকে অবশ্যই জীবনযাত্রার সংকট মোকাবেলায় করনীয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে।
মিঃ খান বলেন, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় ইতোমধ্যে স্বল্প আয়ের লোকজনকে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকারকে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। আর এক্ষেত্রে একটি প্যানডেমিক স্টাইলের কল্যানধর্মী সহায়তা প্যাকেজ চালু করতে হবে স্বল্প আয়ের লোকজনকে লক্ষ্য করে, যাতে এই শীতকালে তারা টিকে থাকতে পারে এবং বৈষম্য অধিকতর বৃদ্ধি না পায়।
এছাড়া এই সিনিয়র লেবার নেতা আগামী ২ বছর লন্ডনে প্রাইভেট ভাড়া ফ্রিজ বা বন্ধের ক্ষমতা প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি সকল প্রাইমারী স্কুলের ছেলেমেয়েদের ফ্রি স্কুল মিল সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের আহ্বান জানান।
মিঃ খান আগামী অক্টোবরে বার্ষিক জ্বালানী বিল ৩৫০০ পাউন্ডে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষাপটে জনগনের দুর্ভোগ লাঘবে ‘বড়ো ধরনের সাহসী’ পদক্ষেপ না নিলে এই শীতে অহেতুক মৃত্যু ঘটতে পারে বলেন সতর্ক করে দেন।
মন্ত্রীবর্গ জীবনযাত্রার সংকট মোকাবেলায় বিদ্যমান ৩৭ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করছেন। তবে জ্বালানী সংকট মোকাবেলায় গত মাসে সাবেক চ্যান্সেলর ঘোষিত ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই প্যাকেজে।
তুলনা করলে দেখা যায়, মিঃ ঋষি সুনাক করোনা মহামারির সময় গত বসন্তকালে অতিরিক্ত ৬৫ বিলিয়ন পাউন্ডের সহায়তা ঘোষনা করেছিলেন জনগনের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে। কভিড সংকটে ৪০০ বিলিয়ন পাউন্ডের ফারলো স্কীম সহ এসব অর্থ ব্যয় করা হয়।
লন্ডনের বাসিন্দাদের ওপর সিটি হল পরিচালিত জরীপে দেখা গেছে, ২০১৮-২০১৯ এবং ২০২১-২০২২ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা স্বল্প আয়ের লন্ডনবাসীর সংখ্যা ৪৪ শতাংশে রয়ে গেছে।