সুদের হার বৃদ্ধি হাউজিং মার্কেটকে শীতল করবে
বছরব্যাপী বাড়ির মূল্যবৃদ্ধির পর যুক্তরাজ্যের চড়া হাউজিং মার্কেটকে শান্ত করতে ব্যাংক সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে বা ত্রৈমাসিকে ৫ শতাংশ বার্ষিক হারে সুদ বৃদ্ধি করা হয়। লন্ডনে যার পরিমান উপর্যুপরি ৭ বছরে ৩ শতাংশই রয়েগেছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি গৃহস্থালীসমূহে চাপ সৃষ্টি করছে এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের বেইজ রেইট ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ২.৫ শতাংশ ছুঁতে পারে। এস্টেট এজেন্ট ‘হ্যাম্পটন্স’ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, অনেক বন্ধকী ক্রেতা বিশেষভাবে প্রথমবারের ক্রেতা তাদের সাশ্রয় ও ঋণের ক্ষমতা হ্রাস পাবার ফলে বাড়ি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত বাদ দিতে পারেন।
এ বছর বাড়ির লেনদেন চলতি বছরের ১.২৫ মিলিয়ন থেকে আগামী বছর ১.১ মিলিয়নে হ্রাস পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সাথে অধিকতর স্টক বৃদ্ধি পেতে পারে। যার অর্থ হচ্ছে ২০২৩ সালের শেষ দিকে যুক্তরাজ্যে বাড়ির দাম ফ্লাটলাইনে যেতে পারে অর্থ্যাৎ স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। বন্ধকের ওপর আস্থাশীল বিত্তশালী বাড়ির মালিকের সংখ্যা স্বল্প হওয়ায় এবং দুর্বল স্টার্লিং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য সম্পত্তিকে সস্তা করার ফলে প্রাইম সেন্ট্রাল লন্ডন আরেকবার একটি নৈরাজ্যকর অবস্থার প্রমান দিতে পারে, যাতে আগামী বছর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হতে পারে ১.৫ শতাংশ।
বিল্ডিং সোসাইটি ‘ন্যাশনাওয়াইড’ এর সর্বশেষ সূচক অনুসারে যুক্তরাজ্যের হাউজিং মার্কেট বা আবাসন বাজার ইতোমধ্যে কিছুটা গতি হারিয়েছে। দেখা গেছে, গত আগষ্টে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছিলো, অথচ এর আগে জুলাই মাসে তা ছিলো ১১ শতাংশ।
হ্যাম্পটন্স- এর গবেষনা প্রধান অ্যানেইশা বেভারিজ বলেন, হাউজিং মার্কেট ২০২২ সালে আমাদের প্রত্যাশাকে আরেকবার মার দিয়েছে। তবে দিগন্তজুড়ে ঝুঁকির মিশ্রন আগামী বছর প্রবৃদ্ধিকে স্থবির করতে বা থামিয়ে দিতে পারে। মিসেস বেভারেজ আরো বলেন, অনেক বন্ধকী বাড়ির মালিক সুদের হার বৃদ্ধি দেখেননি, তাদের এডজাস্টের জন্য সময় লাগবে।
অবশ্য আমরা সম্ভবত: পুনঃগ্রহন এবং বাধ্যতামূলক বিক্রি অপেক্ষাকৃত কম দেখবো, যেগুলো ২০০৮ সালে বাড়ির মূল্যহ্রাসের প্রধান কারণ ছিলো।
এতদসত্বেও প্রত্যাশা করা যাচ্ছে, ২০২৪ সাল হাউজিং মার্কেটের জন্য একটি পুনরুদ্ধারের বছর হয়ে আসবে সুদের হারের পতন ও পেন্ট-আপ চাহিদার কারনে।