চার্লস এখন ব্রিটেনসহ ১৫ কমনওয়েলথ রাষ্ট্রের প্রধান
সত্তর বছর রাজত্ব করার পর ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি রাজশাসক রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্যালমোরাল প্রাসাদে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। রানির মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস নাম গ্রহণ করেছেন এবং ব্রিটেন ছাড়াও ১৪ কমনওয়েলথ রাষ্ট্রের প্রধান হয়েছেন। চার্লস বলেছেন, প্রিয় মায়ের মৃত্যু ছিল তার জন্য এক ‘বড় দুঃখের মুহূর্ত।’ বৃহস্পতিবার তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ার পটভূমিতে রানি এলিজাবেথের পরিবার স্কটল্যান্ডের ওই প্রাসাদে জড়ো হয়েছিলেন।
রানি এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে সিংহাসনে আসীন হন এবং তার জীবদ্দশায় বিশাল সামাজিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়ে ছিলেন। ৭৩ বছর বয়সি চার্লস ১৯৫২ সালে যুবরাজ হন। রানির মৃত্যুর পর তিনি হলেন ইংল্যান্ডের রাজা। তার উপাধি ‘প্রিন্স অব ওয়ালেশ’এখন যাবে তার বড় ছেলে উইলিয়ামের মাথায়।
মায়ের অসুস্থতার খবর পেতেই স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে পৌঁছে যান চার ছেলেমেয়ে— যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ অ্যাডওয়ার্ড (৫৮)। চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও পৌঁছে যান।
সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে আসেন উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান। তার পরই আসে রানির মৃত্যুর খবর। নিয়ম অনুযায়ী বড় ছেলে যুবরাজ চার্লসই হলেন ইংল্যান্ড এবং ব্রিটেনসহ ১৫টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা। ‘কুইন কনসর্ট’ হলেন তার স্ত্রী ক্যামিলা।