এনএইচএস’র লাখ লাখ রোগী বাধ্য হচ্ছেন প্রাইভেট চিকিৎসা গ্রহনে
এনএইচএস- এর ওয়েটিং লিস্ট অর্থ্যাৎ অপেক্ষমান রোগীর তালিকা রেকর্ড পরিমান দীর্ঘ হওয়ায় লাখ লাখ রোগী প্রাইভেট চিকিৎসায় গিয়ে বিপুল অর্থ পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন। ‘এনগেইজ ব্রিটেন’ নামক চ্যারিটি সংস্থার এক সাম্প্রতিক জরীপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জরীপে দেখা গেছে, প্রাইভেট অর্থ্যাৎ বেসরকারী চিকিৎসায় গিয়ে লোকজনকে ব্যয় কর্তন, সঞ্চয় ভাঙ্গা কিংবা ঋন করতে হচ্ছে।
গত ১২ মাসে প্রতি ১০ জনে একজন অর্থ্যাৎ ১০ শতাংশ বয়স্ক লোক বেসরকারী খাত কিংবা ইনডিপেন্ডেন্ট হেলথ্ কেয়ারে গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। এদের মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ অর্থ্যাৎ ৬৩ শতাংশ লোক এরূপ করেছেন এজন্য যে, তাদেরকে দীর্ঘ বিলম্বের সম্মুখীন হতে হয়েছে কিংবা এনএইচএস- এ চিকিৎসা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এনএইচএস ইংল্যান্ড- এর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডে হাসপাতালে রুটিন চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান লোকের সংখ্যা ৬৮ লাখে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থ্যাৎ ৪৬ শতাংশকে অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের ব্যয় হ্রাস করতে, সঞ্চয় ভাঙ্গতে কিংবা ঋণ করতে হয়েছে বেসরকারী চিকিৎসার জন্য। ‘এনগেইজ ব্রিটেন’- এর স্বাস্থ্য ও সেবা প্রকল্প পরিচালক সিরিয়েম লেভিন বলেন, যখন এনএইচএস এখনো আমাদের অনেককে গর্বের অনুভূতিতে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে, তখন এটা অধিকতর স্পষ্ট ও অনুভূত হচ্ছে যে, লোকজন অধিক হারে প্রাইভেট চিকিৎসায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। যখন লোকজন অ্যাপয়েন্টমেন্ট মুলতবী হওয়ার পর মাসের পর মাস যাতনা ও অসুবিধা ভোগ করছেন কিংবা সময় ও শক্তির অপচয় হচ্ছে রেফারেলের পিছনে দৌঁড়ে, তখন লাখ লাখ লোক মরিয়া হয়ে সঞ্চয় ভেঙ্গে কিংবা অর্থ ঋণ করে আবার সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এধরনের একজন রোগী লিন ল্যাংফোর্ড (৫৯)। তার হাঁটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য তিনি তার মোটর বাইক বিক্রি করেন ও অর্থ ঋন করেন এবং বেসরকারী খাতে অপারেশন করান।
তিনি বলেন, আমি জানি এনএইচএস- এ কী অবস্থা চলছে। ৮ সপ্তাহ অপেক্ষা ১২ সপ্তাহ বা এর বেশী সময়ে গড়াতে পারে। কেন্টের জনৈক রোগী অপারেশনের ব্যয় মেটান ৯ হাজার পাউন্ড পরিশোধ করে। তিনি বলেন, আমি ভাগ্যবান যে, আমাকে ঋন করতে হয়নি।