এএন্ডই’তে দরিদ্র এলাকার রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ
ইংল্যান্ডের দরিদ্রতম অঞ্চলসমূহের এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সীতে (এএন্ডই) রোগীর উপস্থিতি ধনী এলাকাগুলোর চেয়ে দ্বিগুন। এনএইচএস এর এক নতুন পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১-২০২২ সালে এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী বিভাগে ১২ ঘন্টারও বেশী অপেক্ষমান বা অপেক্ষাকারী রোগীর সংখ্যা ছিলো ৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৪। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ২ হাজার ৭৮৪ জন। অর্থ্যাৎ এক বছরে ওয়েটিং লিস্টে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুন। প্রতিবেদন প্রকাশকারী এনএইচএস ডিজিটাল বলেছে, তারা ২০২১-২০২২ সালে ৭২ ঘন্টার বেশী অপেক্ষাকারী ১৫ হাজার ৯ শ’ রোগীর সংখ্যা এতে অন্তর্ভূক্ত করেনি। অন্তর্ভূক্ত করেনি এজন্য যে, এটাকে তাদের কাজে বিশ্বাস করা কঠিন বলে মনে হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের বঞ্চিত জনসংখ্যার ১০ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৩০ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ জন রোগীর মধ্যে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭২২ জন সবচেয়ে বেশী বঞ্চিত। ২০২১-২২ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দরিদ্রতম এলাকাসমূহের রোগীর উপস্থিতির হার ২০২০-২১ সালের তুলনায় ২০২১-২২ সালে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংখ্যা ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৬৩ জন। অপরদিকে ধনী এলাকায় বেড়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৪৮০ জন। ডাঃ বয়েল বলেন, এএন্ডই বিভাগে রোগীর উপস্থিতির ক্ষেত্রে দরিদ্রতম এলাকায় ধনী এলাকার চেয়ে বেশী হওয়ার কারন দরিদ্রতম এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন বৃদ্ধি। এক্ষেত্রে জিপি’র সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হ্রাস এর কারন নয়। তিনি আরো বলেন, যথেষ্ট দরিদ্র এলাকাগুলোতে জিপি’র সংখ্যা অনেক। যেমন লিভারপুলে মাথাপিছু জিপি’র সংখ্যা ব্রিটেনের অন্য যে কোন স্থানের চেয়ে বেশী। তবে এখানে অনেক বঞ্চনা রয়েছে।
এএন্ডই- তে রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোক। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় এদের সংখ্যা বেশী। প্রতি ১ লাখ রোগীর মধ্যে শ্বেতাঙ্গের সংখ্যা মাত্র ৩১ হাজার ৯৩০ জন। ২০২১-২২ সালে এএন্ডই-তে উপস্থিত মোট রোগীদের মধ্যে রয়েছে ৩৮ হাজার ১৭৭ জন এশীয়, ৪১ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৮১ হাজার ৯৯৮ জন অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোক।