জ্বালানী সংকট নিরসনে ইউরোপের পরিকল্পনা সহায়ক নয়
সৌদী তেল কোম্পানী আরামকো’র চীফ এক্সিকিউটিভ আমিন নাসের বলেছেন, জ্বালানী সংকট মোকাবেলায় ইউরোপীয় সরকারসমূহের প্রচেষ্টাগুলো সহায়ক নয়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রফতানীকারক কোম্পানীর সিইও আরো বলেন, ভোক্তাদের বিল ক্যাপ বা ব্যয় সীমাবদ্ধকরন এবং জ্বালানী কোম্পানীগুলোর ওপর করারোপ বৈশ্বিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে এক ফোরামে তিনি বলেন, জ্বালানী বিল পরিশোধ বন্ধ করে কিংবা সীমিতকরণ স্বল্প মেয়াদে ভোক্তাদের সাহায্য করতে পারে। কিন্তু এতে সমস্যার মূল কারন দূর হবে না এবং এভাবে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
আমিন নাসের বলেন, যখন উৎপাদন বৃদ্ধি দরকার তখন কোম্পানীগুলোর ওপর করারোপ সহায়ক হতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত বছর রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালালে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পায় এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জ্বালানীর বিল উর্ধ্বমূখী হয়ে পড়ে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারকে শত শত কোটি ইউরো ভর্তুকি দিয়ে এবং কর কর্তন করে এই সংকট মোকাবেলার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ইইউ জ্বালানী কোম্পানীগুলোর ওপর উইন্ডফল ট্যাক্স আরোপের মাধ্যমে ১৪০ বিলিয়ন ইউরো অর্থ্যাৎ ১২১ বিলিয়ন পাউন্ড আদায়ের পরিকল্পনার কথা ঘোষনা করে। উচ্চ মুনাফাকারী জ্বালানী কোম্পানীসমূহের ওপর এই করারোপ করা হবে এবং জ্বালানী বিল পরিশোধে হিমশিম খাওয়া গৃহস্থালীসমূহকে সহায়তা করা হবে। যুক্তরাজ্যে, দেশটির সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক গত মে মাসে নর্থ সী ওয়েল এন্ড গ্যাস অপারেটরদের ওপর এনার্জি প্রফিট লেভি অর্থ্যাৎ তাদের জ্বালানীর মুনাফার ওপর কর আরোপের কথা ঘোষণা করেন।
নাসের আরো বলেন, ইউক্রেইনে সংঘাত নিশ্চিতভাবে জ্বালানী সংকটকে তীব্র করেছে। তবুও যদি আজই যুদ্ধ থেমে যায়, যা আমরা প্রত্যাশা করি, তবুও সংকটের অবসান হবে না। যখন জ্বালানীর বিকল্প উৎসসমূহ অনুপস্থিত, তখন জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ হ্রাসকরণ থেকে জ্বালানী সংকটের সূত্রপাত হয়েছে।