৪৫ বিলিয়ন কর কর্তনের সুবিধা পাবেন যুক্তরাজ্যের বিত্তশালীরা

যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর কাওয়াসি কাওয়ারটেং একটি ‘নেতিবাচক অতিশয় উৎসাহী’ বাজেট উপহার দেয়ার মাধ্যমে অর্থনীতি সংকোচনে হাউস অব কমন্সকে বাজিতে নিয়ে আসার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। যা সমাজের ধনাঢ্যদের গোটা এক প্রজন্মকালের সবচেয়ে বড়ো ট্যাক্স কর্তন বা কর মওকুফ করতে রাষ্ট্রীয় ঋন গ্রহনের পরিমান বিপুলভাবে বৃদ্ধি করবে। দেশের ধনীরা ৪৫ বিলিয়ন কর মওকুফ বা কর্তনের সিংহভাগ সুবিধা ভোগ করবে।
চ্যান্সেলর কর্তৃক আয়করের ৪৫ শতাংশ এবং জাতীয় বীমার জন্য অর্থের ১.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি বাতিলের পর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইকোনোমিস্টগন বলেন যে, ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ডের কর্তনের সুবিধার প্রায় অর্থেক যাবে মাত্র ৫ শতাংশ উপাজর্নকারীর নিকট। সুদ বৃদ্ধির এই সময়ে চ্যান্সেলরের ৭২.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের অতিরিক্ত ঋন গ্রহন মার্কেটসমূহকে শংকায় ফেলেছে, যাতে পাউন্ডের দাম গত ৩৭ বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্নে এসেছে এবং গত জুন থেকে এফটিএসই হান্ড্রেড ৭০০০ মার্কের নীচে বিপর্যয়করভাবে নেমে গেছে।
ট্রেজারি মিনিস্টার জন গ্লেনসহ রক্ষনশীল দলের সিনিয়র সদস্যরা চ্যান্সেলরকে এই বলে সতর্ক করেছেন যে, যখন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তার মুদ্রানীতিকে কঠোর করছে তখন চ্যান্সেলরের আর্থিক নীতিকে শিথিলকরন অগ্রহনযোগ্য পদক্ষেপ। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্তৃক ইতোমধ্যে মন্দায় পড়ার হুঁশিয়ারি এবং সুদের হার ২.২৫ শতাংশ বৃদ্ধির একদিন পরই চ্যান্সেলর কর কর্তনের এই প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এদিকে চ্যান্সেলর কাওয়ারটেং হাউস অব কমন্সে বলেন যে, কর কর্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো। স্থবিরতার বিষাক্ত চক্রকে প্রবৃদ্ধির মহৎ পদক্ষেপে রূপান্তরিত করতে প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপের কথা ঘোষনা করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button