মর্গেজ ঋনদাতারা চুক্তি প্রত্যাহার করছে সুদ বৃদ্ধির ভয়ে

ব্যাংকসমূহ ও বিল্ডিং সোসাইটিগুলো কিছু মর্গেজ চুক্তি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। পাউন্ডের দরপতনের পর সুদের হার বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। ভার্জিন মানি এবং স্কিপটন বিল্ডিং সোসাইটি নতুন গ্রাহকদের প্রস্তাব গ্রহন বন্ধ করে রেখেছে। অপরদিকে ব্যাংক অব আয়ারল্যান্ড বলেছে, তারা সকল মর্গেজ বা বন্ধক প্রত্যাহার করেছে। হ্যালিফ্যাক্স বলেছে, তারা প্রোডাক্ট ফী সহ মর্গেজগুলো বন্ধ করে দেবে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গত সোমবার জানায়, পাউন্ড রেকর্ড নিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ার পর তারা সুদের হার বাড়াতে দ্বিধা করবে না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারের মিনি বাজেটের শীর্ষে গত অর্ধ শতাব্দির মধ্যে সর্ববৃহৎ ট্যাক্স বা কর কর্তন ঘোষনার পর চ্যান্সেলর আরো কর কর্তনের কথা বলেন। তার এই মন্তব্যের পর ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দরপতন ঘটে। এভাবে রাতারাতি পাউন্ডের মূল্যমান ১.০৮ ডলার থেকে ১.০৩ ডলারে নেমে আসে গত সোমবার।
মিনি বাজেট পরিকল্পনাসমূহের জন্য সরকারকে বিপুল অর্থ ঋন গ্রহন করতে হবে এবং এর ফলে বিনিয়োগকারীরা এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে, এই ঋন পরিশোধে দেশের সক্ষমতা আদৌ আছে কি-না। এটা পাউন্ডকে দরপতনের দিকে নিয়ে যায়, যখন যুক্তরাজ্য সরকারের ঋন গ্রহনের ব্যয়ও বেড়েছে। সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্স এক টুইট বার্তায় বলেন, গত শুক্রবারের যুক্তরাজ্যের চরম দায়িত্বহীন নীতির ফলশ্রুতিতে আমি অত্যন্ত হতাশ। তবে মার্কেট এতো দ্রুত এতোটা খারাপ হবে, আমি তা প্রত্যাশা করিনি।
দুর্বল পাউন্ড তেলসহ বিভিন্ন পন্য ডলারে আমদানি করতে বাধ্য করছে। তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এটা এমন এক সময় ঘটছে যখন যুক্তরাজ্যে গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মূল্যস্ফীতি ঘটেছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে, আগামী ৩ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সভায় তারা সুদের হার কমাবে কি-না এ ব্যাপারে পূর্ন মূল্যায়নপূর্বক সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার বায়বীয়তার পর আর্থিক মার্কেটগুলো তাদের পূর্বাভাস হালনাগাদ করেছে এবং বলেছে, মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সুদের হার দ্বিগুন করা হতে পারে আগামী বসন্তে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button