এক-তৃতীয়াংশ প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের খাদ্য জোগাড়ে সমস্যা হচ্ছে
যুক্তরাজ্যে প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকদের এক-তৃতীয়াংশ জীবনযাত্রার এই সংকটের মাঝে খাদ্য জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় ছেলেমেয়েদের শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৩০ শতাংশ লোক জানিয়েছেন আর্থিক চাপ তাদের কার্যক্রমের সক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এই বলে সর্তক বাণী করেছেন যে, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে শিক্ষকদের সংগ্রাম শিক্ষার্থীদের উপর মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। তাদের সাফল্য ও কল্যাণ উভয় ক্ষেত্রে পড়তে পারে এরূপ প্রভাব। এর ফলে ইতোমধ্যে শিক্ষক-স্বল্পতা সমস্যায় জর্জরিত এই পেশা আর এক দফা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, জীবনযাত্রার বেড়ে সংকটের মধ্যে ভালো বেতনের আশায় অনেক শিক্ষক- শিক্ষিকা ইতিমধ্যে স্কুল ছেড়েছেন। অনেকে যোগাযোগ বা যাতায়াতের ব্যয় কমানোর জন্য চাকুরী ছেড়েছেন। তারা বলেন, দেশব্যাপী শিক্ষকেরা চিৎকার করছেন। তারা আমাদের বলছেন, তারা কত সংগ্রাম করছেন এবং চাকুরীর ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতার উপর তহবিল বা অর্থের অভাব কিভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ আরও সতর্ক করে বলেছেন যে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির সাথে খাপ খাইয়ে শিক্ষকদের বৃদ্ধি করা না হলে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হবে না।
প্রাইমারি স্কুলগুলোর মধ্যে পরিচালিত নতুন জরিপে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষক বলেছেন, তারা খাদ্য যোগাড় করতে সমস্যায় আছেন অপর অর্ধেক বলেছেন, পেট্রোল জোগাড়ে তাদের সমস্যা হচ্ছে এবং এক চতুর্থাংশ শিক্ষক বলেছেন, পোশাক জোগাড়ে তাদের সমস্যা হচ্ছে।
তাদের ৭০% বলেন যে, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ইতোমধ্যে ১০০ প্রাইমারি স্কুলের এক তৃতীয়াংশ শিক্ষক বলেছেন, এ অবস্থা তাদের চাকুরী ভালোভাবে করার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করছে।