তুরস্কের রফতানি রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি
ইউরোপের শক্তিশালী মুসলিম দেশ তুরস্ক গত সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড পরিমান রফতানী করেছে। এর পরিমান ২২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাস ৯.২ শতাংশ হারে রফতানী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্কের বানিজ্যমন্ত্রী মেহমেত মুস সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
কৃষ্ণসাগরীয় প্রদেশ ট্রাবজনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি বলেন, জ্বালানী ও অন্যান্য পন্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি দেশের আমদানির পরিমান বৃদ্ধি করেছে। গত বছর আমদানির পরিমান ছিলো ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা এবছর বেড়ে ৪১.৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের জ্বালানী আমদানি ১১৫ শতাংশ বেড়ে গত মাসে ৯.৫৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে, মাসিক হিসাবে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশী। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বার্ষিক হিসাবে বানিজ্য ঘাটতি গত সেপ্টেম্বরে প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যার পরিমান ১০.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর বানিজ্য ঘাটতি ছিলো ১০.৪ বিলিয়ন ডলার এবং ঐবছর আগষ্টে এ দাঁড়ায় ১১.২ বিলিয়ন ডলারে।
জার্মানী যথারীতি তুরস্কের শীর্ষে রফতানী বাজার হিসেবে রয়ে গেছে। সেদেশে রফতানী ১৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ বিলিয়ন ডলারে। এর পরের অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশে রফতানির পরিমান ০.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৩৮ বিলিয়ন ডলারে। তুরস্কের তৃতীয় বৃহৎ রফতানী বাজার হচ্ছে ইরাক। সেদেশ থেকে তুরস্কের রফতানি আয় হয়েছে ১.২৮ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে বার্ষিক বৃদ্ধি ২৪.৩ শতাংশ।
অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে সৌদী আরব, যেখানে তুরস্কের রফতানি আয় ২২১ শতাংশ বেড়েছে। রিয়াদের সাথে আংকারার বিদ্যমান উত্তেজনা হ্রাসের প্রেক্ষাপটে বানিজ্য আয় বেড়েছে। কয়েক বছর আগে খাশোগীর হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তুরস্কের আমদানি পন্যের অধিকাংশ আসে রাশিয়া থেকে। জ্বালানী আসে বেশী। রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমান ১৮৬.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৯৩ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে চীন ও সুইজারল্যান্ড যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।