বেনিফিট কর্তন ২ লাখ শিশুকে দারিদ্রে নিপতিত করবে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে এই বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, তিনি যদি তার বেনিফিট কর্তনের পরিকল্পনা থেকে সরে না আসেন, তবে আরো ২ লাখ শিশু দারিদ্রের দিকে ধাবিত হবে। চাইল্ড পোভার্টি অ্যাকশন গ্রুপ (সিপিএজি) সম্প্রতি এই সতর্কবাণী উচ্চারন করেছে। দাতব্য সংস্থাটি বলেছে, এ ধরনের পরিকল্পনা বিদ্যমান বিপর্যয় বৃদ্ধিতে ইন্ধন যোগাবে, যখন পরিবারগুলো কাপড়চোপড় ক্রয় কিংবা বিলসমূহ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে।
সরকার তার প্রতিশ্রুত কর কর্তনের জন্য ব্যাংক সঞ্চয়ে মরিয়া। এজন্য তারা মূল্যস্ফীতির পরিবর্তে মজুরীর সাথে সংগতি রেখে মূল্য বৃদ্ধি করছে, যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কর্তৃক এ বছরের প্রথম দিকে প্রতিশ্রুত মূল্যবৃদ্ধির চেয়ে বেশী। বরিস জনসন মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মূল্যবৃদ্ধির কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সিপিএজি বলেছে যে, নিম্ন আয়ের গৃহস্থালীগুলো জ্বালানী ও খাদ্যের জন্য তাদের আয়ের অনুপাতে বেশী ব্যয় করছে।
দাতব্য সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী অ্যালিসন গার্নহ্যাম বলেন, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে এক শিশু বিপর্যয়ের সম্মুখীন এবং যদি এক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহন না করা হয়, তবে অনেক শিশুর জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। ব্যয় নির্বাহে হিমশিম খাওয়া পিতামাতাদের এখন পুনরায় নিশ্চিত করা আবশ্যক যে, তাদের সন্তানেরা ‘ইফিশিয়েন্সী সেভিংস’ অর্থ্যাৎ কার্যকর সঞ্চয় তালিকায় নেই। চ্যান্সেলরকে মূল্যস্ফীতির সাথে সংগতি রেখে বেনিফিট বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির প্রতি অবশ্যই সম্মান দেখাতে হবে।
স্বল্প আয়ের পরিবারসমূহ দাতব্য সংস্থাটিকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, সকল ক্ষেত্রে তাদেরকে ব্যয় কর্তনে যেতে হবে এবং অব্যাহত উদ্বেগে নিপতিত হতে হবে।
জনৈক পিতা সংস্থাটিকে বলেছেন, আমি প্রতিদিন এই দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুম থেকে ওঠি যে, কীভাবে আমি আগামী গ্যাস/ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবো। সরকার বেনিফিটের গত বৃদ্ধির পর প্রতিশ্রুতি থেকে সম্পূর্ন সরে আসার ইংগিত দেয় গত বছরের প্রথম দিকে। এই বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির তুলনায় স্বল্প হিসেবে প্রতীয়মান হয়। ফলে এি নিয়ে কেবিনেটে তীব্র তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়।