আগামী বছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত মন্দা থাকবে যুক্তরাজ্যে
অর্থনীতিবিদরা এই মর্মে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, আগামী ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মন্দাবস্থা বিরাজ করবে। এসময়ে ব্রিটেনের অর্থনীতি প্রতিটি প্রান্তিকে অর্থ্যাৎ ত্রৈমাসিকে প্রায় ০.২ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। এ অবস্থায় চলবে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত।
এই প্রলম্বিত অর্থনৈতিক পতনে সামগ্রিকভাবে ২০২৩ সালের জন্য জিডিপি প্রায় ০.২ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। ইওয়াইন আইটেম ক্লাব তাদের শরৎকালীন পূর্বাভাসে এ তথ্য প্রদান করেছে। তাদের পূর্বাভাস অনুসারে, অর্থনীতি একটি টেকনিক্যাল মন্দায় প্রবেশের ফলে পরপর ২ বা ৩ টি প্রান্তিক পর্যন্ত জিডিপি হ্রাস পেতে পারে। অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দাতা গ্রুপ তাদের পূর্বের গ্রীষ্মকালীন পূর্বাভাসকে তাৎপর্যভাবে অবনমিত বা নিম্নগামী করেছে, যাতে ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। উচ্চ জ্বালানী ব্যয়, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুর্বলতা এই সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে যে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে আগামী বছরের মধ্যভাগ পর্যন্ত একটি মন্দার মধ্যে থাকতে হবে।
ইওয়াই আইটেম ক্লাব অবশ্য বলেছে যে, সরকারের বেঁধে দেয়া জ্বালানীর মূল্যসীমা একটি মারাত্মক ওলট পালটের ঝুঁকি দূর করবে। এর অর্থ হচ্ছে, পরিস্থিতি আগের মন্দাগুলোর মতো এতো মারাত্মক হবে না। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে সরকার জ্বালানির মূল্যে হস্তক্ষেপ করে এবং একটি সাধারন গৃহস্থালীর জন্য বার্ষিক জ্বালানী ব্যয় আড়াই হাজার পাউন্ডে সিলিং বা সীমা নির্ধারন করে দেয়।
এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিদ্যুতের উর্ধ্বমুখী মূল্যের একটি আনুপাতিক অংশ কাভার বা সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। গৃহস্থালীর আয়ের উপর চাপ কমানো এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষার লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।
এছাড়া ইওয়াই বলেছে, এক পর্যায়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলে, দুর্বলতর পাউন্ড রফতানি বৃদ্ধি করবে এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার বৃদ্ধির অবসান হবে। এভাবে যুক্তরাজ্যের জিডিপি ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ভাগে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে আসবে।